UP Jawan Beaten

সেনা জওয়ানকে দল বেঁধে মার ‘চোর সন্দেহে’, বলছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ

জাতীয়

সেনা জওয়ান এবং তাঁর ভাইকে ঘিরে ধরে মারধর চলেছে উত্তর প্রদেশের মুজফ্‌ফরনগরে। ছড়িয়েছে দলবেঁধে মারধরের সেই ভিডিও। তুমুল প্রতিক্রিয়ার জেরে উত্তর প্রদেশের পুলিশ এখন বলছে ভুল করে দুষ্কৃতী মনে করে মারধর করেছে গ্রামবাসীরা।
ঘটনা ঘিরে উত্তর প্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফের গুরুতর প্রশ্নের মুখে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের বিজেপি সরকারের ‘ঠোক দো’ নীতিতে জনতারই যে ভরসা সামান্য, বেরিয়েছে সেই বাস্তবতাও। 
গত শুক্রবার রাতে সেনা জওয়ান মোহন তাঁর তুতো ভাই মোহনকে নিয়ে সাহারানপুর থেকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন। পুলিশের বক্তব্য, ফেরার সময় দু’জনে মদ্যপান করেন। পথে মুজফফরনগর জেলা এক গ্রামে পেট্রোল ফুরিয়ে যায়। গ্রামে এক বাড়িতে সাহায্য চাইতে যান তাঁরা। গ্রামবাসীরা দুষ্কৃতী আতঙ্কে ভুগছিলেন। এই দু’জনকে দুষ্কৃতী মনে করে ঘিরে ধরে মারধর চলতে থাকে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিও’র দৃশ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে। আক্রান্ত সেনা জওয়ানকে মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কাতর আর্তি জানাচ্ছেন তিনি ছেড়ে দেওয়ার জন্য। 
পুলিশ জানিয়েছে দু’জনেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই লাঠি দিয়ে বারবার আঘাত করা হয় দু’জনকে। 
আদিত্যনাথকে সামনে রেখে বিজেপি’র প্রচার ছিল ‘ঠোক দো’ নীতিতে সরকার চলবে। দাগী দুষ্কৃতী বা সন্দেহজনক দুষ্কৃতী দেখলে পুলিশ গুলি করে দেবে। উত্তর প্রদেশে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে ‘এনকাউন্টার’। পুলিশ হেপাজতে মৃত্যুও বেড়েছে উদ্বেগজনক মাত্রায়। তা থেকে ‘কড়া প্রশাসন’ ভাবমূর্তি তৈরি হলেও মানুষ আসলে দুষ্কৃতী আতঙ্কেই আছেন। মুজফ্‌ফরপুরের এই ঘটনার পর বলছেন বিরোধীরা।
সেই সঙ্গে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দলবেঁধে মারধরের প্রবণতা ছড়ানোর ক্ষোভ জানিয়েছে বিভিন্ন অংশ। বস্তুত দেশেরও বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্বেষের রাজনীতির হাত ধরে এই প্রবণতা বেড়েছে। 
মুজফ্‌ফরনগরের পুলিশ বিশেষ বার্তায় বলেছে যে আইন-শৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments :0

Login to leave a comment