Bharat Jodo Nyay Yatra in Bengal

মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানানোতেই বাধা ন্যায় যাত্রায়, বললেন তৃণমূল বিধায়ক

রাজ্য জেলা

কংগ্রেস বহরমপুর স্টেডিয়ামে সভা করার অনুমতি চাইলেও অনুমতি দেয় নি প্রশাসন। মঙ্গলবার ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির দাবি করেছেন, এই অসহযোগিতা স্বাভাবিকই। এদিন বহরমপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে  তিনি বলেছেন, “ অধীর চৌধুরী পাগলামি করছেন”। তাঁর দাবি, মমতা ব্যানার্জি, অভিষেক ব্যানার্জিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন অধীর। হুমায়ুন বলেছেন, “ ওর মনে থাকে না,  যে একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বড়বড় আজেবাজে কথা বলছি তাঁর ইফেক্ট পড়তে পারে”। তিনি দাবি করেছেন, ন্যায় যাত্রার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে দেরি করেছে কংগ্রেস তাই এই অসহযোগিতা। আগেই তো চিঠি দেওয়া উচিৎ ছিল। এখন খারগে জী চিঠি দিচ্ছে। এই চিঠি তো আগে দেওয়া উচিৎ ছিল, তাহলে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা তৈরি হতো না। অধীর চৌধুরী মমতা বানার্জীকে অসম্মান করবে,  আর সেই প্রশাসনের কাছ থেকে অধীর চৌধুরীকে রেয়াত করা হবে কেন মনে করবেন”।
এদিন বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অসহযোগিতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “ রাহুল গান্ধীর যাত্রার প্রথম দিন থেকে অর্থাৎ বক্সির হাট থেকে প্রশাসনিক সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি না। আমরা এটা আশা করিনি পশ্চিমবঙ্গে এই ধরণের সমস্যার মধ্যে পরতে হবে”। অধীর বলেছেন, ভারতবর্ষের পার্লামেন্টে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলায় রাহুল গান্ধীকে সাসপেন্ড করা হল। তাঁকে দিল্লিতে ঘর ছাড়া করা হয়েছে, তাকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গ এখানেও তাঁকে অসহযোগিতা করা হচ্ছে। অধীরের অভিযোগ,  রাহুল গান্ধীর পোস্টারের সামনে সরকারি দলের কোন ফেস্টুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।  
অধীর বলেছেন, “ রাহুল গান্ধীর পদযাত্রা কিন্তু ঘোষিত পদযাত্রা। এটা লুক্কায়িত কিছু নয়। বিভিন্ন স্থানে আমি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলাম, কোথায় এমন ঘটনা ঘটেনি রাহুল গান্ধীর সাথে কংগ্রেস কর্মিদের খাবার খাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। মণিপুরে মানা যায়, আসামে মানা যায় কিন্তু বাংলায় এটা কাম্য ছিল না ” ।
মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে  রাহুল গান্ধীর পথসভা বাতিল করে দেয় বীরভূম জেলা প্রশাসন। পথসভা বাতিল হলেও  সমস্ত নিয়মশৃঙ্খলা মেনেই রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ঘোষিত সূচি মেনেই পথ হাঁটবে বলে জানানো হয়েছে জাতীয় কংগ্রেসের তরফে।  
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার এড়োয়ালি হয়ে বীরভূমের তারাপীঠ থানার বুধিগ্রাম অঞ্চল হয়ে বীরভূমে ঢুকবে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার কনভয় বলে এদিন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখান থেকে তারাপীঠ ছুঁয়ে রামপুরহাট, নলহাটি হয়ে মুরারইয়ের রাজগ্রামে বীরভূমের যাত্রা শেষ হবে। এরপর বিকেলে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ঝাড়খন্ডে প্রবেশ করবে ন্যায়যাত্রা। মাঝে রামপুরহাট থানার বড়শাল মোড়ে রাহুল গান্ধির উপস্থিতিতে একটি পথ সভা করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র থাকায় সেই পথসভার অনুমতি দেয় নি  জেলা পুলিশ। তাই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সফরসূচির কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে স্বাধিনপুরের কাছে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে পারেন রাহুল গান্ধী।

Comments :0

Login to leave a comment