যৌবনের ব্রিগেড সফল করতে হবে। ন্যায় বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে যাঁরা রাস্তায় বসে আছেন, অভাবনীয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইকে জোরালো করতে হবে। তৃণমূল নামে জগদ্দল পাথর হঠাতে সব অংশের মানুষকে প্রয়োজন। যৌবনের এই অভিযানকে সফল করতে হবে।
বুধবার গণশক্তির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানিয়েছেন প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা এবং বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেন, যৌবনের ব্রিগেড ভরাতে উদ্যোগ নিন। কালো মাথাদের ভিড় আরও বাড়াতে হবে।
৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই। ‘যৌবনের ডাকে জনতার ব্রিগেড’ স্লোগানে চলছে প্রচারে। শামিল ‘গণশক্তি’।
এদিন কলকাতায় প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে চলছে ‘গণশক্তি’-র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান। সভাপতিত্ব করেছেন বিমান বসু। বক্তব্য রেখেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, ‘গণশক্তি’-র সম্পাদক শমীক লাহিড়ী। ‘আক্রান্ত সংবাদমাধ্য, বিধ্বস্ত গণতন্ত্র’ বিষয়ে বক্তব্য রাখছেন প্রধান বক্তা সংবাদমাধ্যম বিশেষজ্ঞ শশী কুমার।
বসু বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের জন্ম দিয়েছে আরএসএস, রাজ্যে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বীজ বপন করার জন্য। ১৯৯৮ সালে গঠনের সময় বলা হয়েছিল প্রকৃত বামপন্থী দল তৃণমূল। পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল ২০০১-এ বলেছিল তারা প্রকৃত বামপন্থী দল করেছে।’’ বসু বলেন, ‘‘দক্ষিণপন্থীরা নিজেদের টিকিয়ে রাখতে এই প্রচার করে।’’
বসু বিজেপি’র প্রচার সম্পর্কে সচেতন করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বলে, তৃণমূলকে আটকাতে হলে বিজেপি-কে দরকার। বামেরা শূন্য। বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে ফারাক কথায়? দুজনের কেউ আরএসএস’র বিরুদ্ধে কোনও কথা বলে? এই সত্য আমাদের মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। সজাগ থাকতে হবে। দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বিপদ সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে।’’
Comments :0