খাবার সম্পর্কে বিশদে জানাবে খাবারের দোকান। দোকান মালিক বা কর্মীদের নাম বা পরিচয় জানাতে বাধ্য করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কেই স্বাগত জানালেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত।
কারাত বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এই অন্তর্বর্তীকালীন আদেশকে স্বাগত। উত্তর প্রদেশ এবং তারপর উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারের নির্দেশ একেবারেই বিভাজনমূলক, সাম্প্রদায়িক এবং মনুবাদী ধারণার অনুসারী।’’
কারাত বলেছেন, ‘‘ধর্মীয় পরিচয়ের নিরিখে সংখ্যালঘুদের আরও কোণঠাসা করা হয়েছে এই নির্দেশে। এমন চলতে থাকলে জাতের পরিচয়ের নিরিখেও কোণঠাসা করা হবে আরও।’’
হিন্দু দর্শনার্থী কাওঁয়ারিদের যাত্রাপথে সব দোকানকে আচমকা মালিক এবং কর্মীদের পরিচয় জানানোর নির্দেশিকা পাঠায় ওই দুই রাজ্যের বিজেপি সরকার। লক্ষ্য, মুসলিমদের জীবিকাচ্যুত করা। প্রতিবাদও ওঠে দেশজুড়ে। প্রতিবাদ জানায় সিপিআই(এম)। নির্দেশিকা বাতিলের দাবি তোলে পলিট ব্যুরো।
এদিন নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে এমন নির্দেশিকা ক্ষতিকর। কাঁওয়ারি যাত্রীদের সুবিধা হবে যদি সঠিক খাবারের মান এবং তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিরামিশ খাবার দেওয়া হয়। এই দুই রাজ্যের পাশাপাশি মধ্য প্রদেশ সরকারকেও নোটিশ পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। নির্দেশিকা না মানলে পুলিশি ব্যবস্থার হুমকিতেও খেদ জানিয়েছেন বিচারপতিরা।
কারাত বলেছেন, ‘‘আদালতের এই নির্দেশে গালে চড় পড়েছে উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের। কাঁওয়ারিরা নিশ্চয় জানবেন যে তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী নিরামিশ খাবার দেওয়া হচ্ছে কিনা। খাবার নিরামিশ না আমিশ তা জানানো জরুরি। খাদ্য সম্পর্কে জানানো জরুরি তাঁদের। কিন্তু দোকান মালিক বা কর্মীদের নাম জানানো জরুরি নয়।’’
সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীরা এদিন বলেছেন যে পুলিশকে দিয়ে ধর্মীয় বিভাজন প্রশাসনিক স্তর থেকে সমাজে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রয়াস দেশের পক্ষে মারাত্মক। বহুকাল ধরে এই দর্শনার্থীরা এই এলাকা দিয়েই ধর্মাচরণ করতে গিয়েছেন। কখনও এমন অবিশ্বাস তৈরি হয়নি ব্যবসায়ী বা ক্রেতাদের মধ্যে। এই অবিশ্বাস তৈরি করা হচ্ছে।
SC BRINDA KARAT
সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত কারাতের
×
Comments :0