পুলিশ নীরব দর্শক। পুলিশের সামনেই হাজার অধিক বহিরাগত তৃণমূল দুষ্কৃতী বাহিনীর হিংস্র আক্রমণ। মেদিনীপুর পিপলস কো অপারেটিভ সমবায় ব্যাংকের পরিচালন কমিটি নির্বাচনে মনোনয়ন আটকাতে বামপন্থীদের উপর হামলা। রক্তাক্ত হলেন অনেকেই। ৫১ জন প্রার্থীকেই আক্রমণ করা হয়েছে। সেখানে দাড়িঁয়ে থেকে দেখলেন পুলিশ প্রশাসন। বাইরের লোক এনে নমিনেশন তোলার জন্য আক্রমণ চালিয়েছে। একটি সমবায় ব্যাঙ্ক পরিচালন সমিতির প্রতিনিধি নির্বাচনে এই তান্ডব তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের। মঙ্গলবার সকালে নমিনেশন জমাদিতে যাওয়াকে বামপন্থী প্রার্থীদের উপর হামালা চালায়। বলা হয় নমিনেশন জমা দিতে হবে না এখন থেকে চলে যায়। বামপন্থী পার্থীরা প্রতিরোধ করলে তাদের উপর চড়াও হয় তৃনমূলের দুষ্কৃতীরা। লাথি মেরে, ধাক্কা দিতে থাকে। ঘটনায় জখম হয়েছেন একাধিক বামপন্থী পার্থী কর্মী সমর্থকরা।
সমবায় ব্যাঙ্ক পরিচালন সমিতির প্রতিনিধি নির্বাচনের আগে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় পুলিশ ও তৃণমূলের যৌথ বাহিনীর তাণ্ডব। সকাল আটটার আগেই পিপলস কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে যাওয়ার ছয়টি লেন সহ চারটি গলি রাস্তাও গার্ডওয়াল দিয়ে ঘিরে পাহারা দেয় পুলিশ। কোনো ব্যাক্তিকেই চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। সিপিআই(এম)দপ্তরে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। যাতে দপ্তরে কোনো লোক যেতে পারে। পরপর পুলিশের পাহারায় আরও ১৬টি বাসে করে আনা বহিরাগতরা তান্ডব চালায়। বাইরের লোক নমিনেশন তোলার জন্য ভিতরে ঢুকে পড়ে। এরাই পুলিশের সামনে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। সোমাবর রাতে দেখা গেছে পুলিশের হাতে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা। তারাই রোল কল করছে। এদিন সকালে বহিরাগত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বামপন্থী পার্থীদের উপর। ২০১৫ সালে হয়েছিল মেদিনীপুর কো-অপারেটিভ পিপলস ব্যাংকের নির্বাচন। মেয়াদ শেষ হলেও দীর্ঘদিন মেদিনীপুর শহরের এই সমবায় ব্যাংক নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়। রাজ সরকার প্রশাসক নিয়োগ করে। আগামী মাসে নির্বাচন হওয়ার কথা। সোমবার ও মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র তোলার তারিখ ঘোষণা করা হয়। সোমবার বামপন্থী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র তুলতে গেলে তৃণমূলের মদতপুষ্ট গুন্ডা বাহিনী বাধা দেয়। এদিনও বাধা দেয়, হামলা চালায়। স্থানীয় মানুষ বলতে শুরু করেছেন ‘শূন্য পাওয়া সিপিআই(এম) বলে কটাক্ষ যারা করে সেই তৃণমূল কংগ্রেস একটি সমবায় ব্যাঙ্ক পরিচালন সমিতির প্রতিনিধি নির্বাচনে এমন তান্ডব চালালো। তাদের বক্তব্য বিনা নির্বাচনে সমবায় পরিচালন সমিতির দখল নিতেই তৃণমূলের এই তান্ডব।
Comments :0