অপূর্ব মণ্ডল, বালুরঘাট
পঞ্চায়েতের পরিষেবার পাশাপাশি পরিবেশের কথা বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন সিপিআই(এম) প্রার্থী পলাশ মন্ডল। অযোধ্যা কালিদাসী বিদ্যানিকেতনের পার্শ্ব শিক্ষক দাঁড়িয়েছেন অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের হাসইল গ্রাম সংসদে।
সবার হাতে কাজ, সবার পেটে ভাতের কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই পলাশ মন্ডল বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচারে বলছেন পরিবেশ রক্ষার কথাও। বলছেন প্লাস্টিকের ব্যবহারে কেন সতর্ক হওয়া উচিত। কেন রক্ষা করতে হবে জলাশয়, গাছ। পঞ্চায়েতকে কেন গ্রামের সবুজ বাঁচানোর দিকে দেখতে হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুরে এখন ভোটের প্রচার তুঙ্গে। তৎপরতা তুঙ্গে বামফ্রন্টেরও। তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই শক্তিকেই হারানোর ডাক দিয়ে চলছে প্রচার। লম্বা সারির মিছিলে মিছিলে স্লোগান। পিছনে টোটোতে মাইক। বাজার, গ্রাম, পাড়ার ভেতর দিয়ে ঝান্ডা কাঁধে খেটে খাওয়া জনতা।
পলাশ মণ্ডল বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিবেশ কেন্দ্রীক কর্মকান্ডে বহুদিন ধরেই যুক্ত । বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পরিবেশের চর্চাতেও দেখা যায়। বাড়ির পাশের পুকুর, খাল বিল সংস্কার, রাস্তার ধারে গাছ লাগানো, রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সারের ব্যবহার, ক্ষতিকর প্লাস্টিক ব্যবহার না করা, পরিবেশ বান্ধব গ্রাম হিসেবে হাসইল গ্রামকে গড়ে তোলাই তার লক্ষ্য।
হাসইল গ্রামের বাসিন্দা অমূল্য দেবনাথ, সুনীল দেবনাথ, নিধুবালা দেবনাথ সহ গ্রামবাসীরা বলছেন ভোট প্রচারে এসে কেউই আমাদের এগুলো বিষয়ে বলেনি। পরিবেশ বিষয়ক অনেক কিছু মূল্যবান কথা বলেছেন পলাশ। গ্রামের ছাত্র যুবরা বলছেন স্যার পঞ্চায়েতের পরিশেবার পাশাপাশি পরিবেশের কথা বলছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে। তিনি ভালো কাজই করছেন। পঞ্চায়েত ভোটে পরিবেশ বাঁচানোর আবেদনের পাশাপাশি কেন বামফ্রন্টকে ভোট দেবেন সেটাও বলছেন পলাশ মণ্ডল।
রাজ্যে এবং দেশে এ সময়ে লুট হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ। লুট হচ্ছে আসলে মানুষের সম্পদ। প্রচারে তা বলছেন সিপিআই(এম) প্রার্থী। কর্পোরেটের লোভে সাফ হচ্ছে বনাঞ্চল। বিজেপি’র সরকার কর্পেরেটের পক্ষে। এ রাজ্যে পাথর বালি পাচার থেকে টাকা লুটতে নেমে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে নদী, জলাশয়। পরিবেশের প্রচারে লুটের বিপক্ষেই জনমত গড়ছেন পলাশরা। স্বচ্ছ পঞ্চায়েত, জনতার পঞ্চায়েত দরকার পরিবেশকে বাঁচানোর জন্যও- বলছেন সে কথা।
Comments :0