তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী সব শক্তিকে একজোট করতে হবে রাজ্যে। বামপন্থীদের শক্তি বাড়াতে হবে। নতুন শক্তির সমাহারও করতে হবে। তার জন্য শক্তি বাড়াতে হবে সিপিআই(এম)-কে। 
সিপিআই(এম) জলপাইগুড়ি জেলা সম্মেলনে যোগ দিতে এসে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে একথা বলেছেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 
শনিবার শুরু হয়েছে জেলা সম্মেলন। প্রকাশ্য সমাবেশেও বক্তব্য রেখেছেন সেলিম এবং সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য অনাদি সাহু।  
সেলিম বলেন, ‘‘২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী সমস্ত শক্তিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে হবে। তার জন্য প্রথমে বামপন্থীদের একসঙ্গে করতে হবে। বামপন্থী দল, ব্যক্তি, গোষ্ঠী একত্রিত করতে হবে। তার জন্য সিপিআই(এম)-কে আরও শক্তিশালী করতে হবে। নতুন শক্তির সমাহার করতে হবে।’’
সেলিম বলেন, ‘‘সিপিআই(এম) শক্তিশালী হলে বাম ঐক্য দৃঢ় হবে। কেন্দ্রে বিজেপি রাজ্যে তৃণমূল লুট চালাচ্ছে। দু’দলের মধ্যে সেটিং-এর রাজনীতি চলছে। তার বিরুদ্ধে আমরা সবাইকে এক করব।’’
জলপাইগুড়ি জেলা সম্মেলন শেষ হবে কাল। 
ভারত এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের নিন্দা করেন সেলিম। এদেশে বিভিন্ন রাজ্যে যে ভাবে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থান ঘিরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির নিন্দাও করেন তিনি।  
তিনি বলেন, "উত্তর প্রদেশের সম্ভলে মসজিদে গিয়ে কারা হামলা করেছে? কারা সাম্প্রদায়িক ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা করেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কেন দিল্লির জামা মসজিদের নিচে কী আছে তা খুঁজতে যাবে। তাজমহলের নিচে কী আছে তা নিয়ে বজরঙ দল কেন বলে? আমাদের পশ্চিমবঙ্গের এইরকম দুটি মসজিদকে নিয়ে আরএসএস নতুন করে প্রচার শুরু করেছে। তৃণমূল তাতে হাওয়া দেবে। হিন্দু মুসলমান বিভাজন থেকে ভোটের রাজনীতিতে ফয়দা তোলার জন্য সচেষ্ট দু’দলই।"
উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সেলিম। তাঁর কথায়, বিজেপি-তৃণমূল মানুষকে ভাগ করার চেষ্টা করছে। আমরা চাই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন। আমরা চাই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন। এটার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে আরও সুচারু ভাবে কাজ করতে হবে। 
সেলিম দেশের বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, "গোটা বিশ্বে  বেকারত্ব সব থেকে বেশি হারে বেড়েছে আমাদের দেশে। সেই ব্যাপারে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার কোনও কথা বলছে না। শিক্ষার ব্যবস্থা অবস্থা বেহাল। আমরা শিক্ষার সম্প্রসারণ করেছিলাম, এখন শিক্ষা সংকুচিত হচ্ছে।"