APPLE KASHMIR USA

আমেরিকাকে খুশি করতে আপেলে কমছে শুল্ক, ক্ষোভ কাশ্মীরে

জাতীয়

আমেরিকাকে খুশি করার জন্য দেশের মানুষকে ডোবানো হচ্ছে কেন। আমেরিকা থেকে ‌আমদানি করা ‌অন্যান্য আপেল, আখরোট, বাদামের শুল্ক কমানো হচ্ছে কেন?

জি-২০ বৈঠকের পরপরই এই প্রশ্ন তুললেন জম্মু ও কাশ্মীরের বিরোধী দলগুলির নেতানেত্রীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা আপেল, আখরোটের মতো পণ্যে বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের ‌আপেল চাষীরা সমস্যায় পড়েছেন। সমস্যা রয়েছে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলের কৃষিজীবীদেরও।

শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ফের বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি ওমর আবদুল্লা এবং পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি সোমবার ওই দাবি তুলেছেন। 

পিডিপি সভাপতি মেহেবুবা মুফতি বলেছেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তে ক্ষতি হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষিজীবী বহু মানুষের।’’ 

কড়া প্রশ্ন তুলেছেন ওমর আবদুল্লাও। সংবাদমাধ্যমে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এ কেমন নীতি যেখানে আমেরিকাকে খুশি করার জন্য তিন রাজ্যের মানুষকে ডোবানো হয়। আমাদের বিদেশি আপেল বা আখরোট-বাদাম দরকার নেই। দেশেই যথেষ্ট রয়েছে।’’ ওমর আবদুল্লার মন্তব্য, ‘‘ সরকারের উচিত নিজের দেশের লোকের কথা ভাবা। তা না করে বিদেশের সুবিধা করে দিতে বেশি ব্যস্ত সরকার।’’

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীক্ষ্ণ সমালোচনায় ওমর বলেছেন, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম কেন্দ্র কাশ্মীরের জনগণের কথা ভাববে। এখানকার মানুষের কথা ভাবতে না চাইলে অন্তত হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মানুষের কথা ভাবা উচিত ছিল।’’ 

কাশ্মীরে নেতানেত্রীদের দাবি, ফের শুল্ক বসানো উচিত আমেরিকা বা বিদেশ থেকে আনা আপেল, আখরোট, বাদামে। এর আগে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হয়েছিল ২০১৯ সালে। ভারতের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক চাপিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার পালটা আপেলের মতো পণ্যের আমদানিতে বাড়তি শুল্ল চাপায় ভারত। সম্প্রতি তা তুলে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যেই আপেল চাষীরা লোকসানের মুখে রয়েছেন। 

Comments :0

Login to leave a comment