বিশ্বনাথ সিংহ
২০১৭ সালে রায়গঞ্জ পৌরসভা ভোটের চিত্র ফের নজরে এলো এবারের উপ নির্বাচনে।
বুধবার বোমা গুলি বারুদের শব্দ ছিল না। তবে বিরোধী ভোটার এবং এজেন্টদের হুমকি ধমকি প্রাণনাশের হুমকির মধ্যে ভোট হলো রায়গঞ্জ শহরে। বেলা ১টার পর থেকে ২৭ টা ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭/১৮ টিতেই দেদার ছাপ্পা ভোট হয়ে গেল। পুলিশ প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদতেই ভোটলুট হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস জোট প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত।
সকাল থেকে টিপটিপ করে বৃষ্টি শুরু। এ যেন এক বর্ষার ছুটির দিন কাটানোর আমেজ শুরু হয়। সকাল থেকে বুথে ভোটার ছিল হাতে গোনা। স্বাভাবিক ছিলো ভোট পর্ব। সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যেও রাস্তায় পুলিশের গাড়ির এদিক ওদিক দৌড়োদৌড়ি ছাড়া ভোটারদের ভোট দেওয়ার তেমন উৎসাহ ছিলো না রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে। বেলা ১২টা পর্যন্ত কোথাও কোনো রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছিল না।
কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই রায়গঞ্জ শহরে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়। রায়গঞ্জে উপনির্বাচনে রায়গঞ্জ করোনেশন, রামকৃষ্ণ, কাঞ্চনপল্লী প্রাইমারি স্কুল, বীরনগর, শিবাবাড়ি, গার্লস স্কুলের বুথের বাইরে পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের গল্পগুজব চললো দিনভর।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো বুথের ভেতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। বুথের বাইরে তৃণমূলের জন্যে অবারিত আনাগোনা। অভিযোগের পর অভিযোগ। প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদত পুলিশের নির্লজ্জ ভোট করানো অভিযোগে সরব প্রার্থী এবং জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত।
সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক বলেন, রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রায়গঞ্জ ব্লকের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট হয়েছে স্বাভাবিক। বেপরোয়া ভাবে চাপা সন্ত্রাস হয়েছে রায়গঞ্জ শহরে। ২০১৭ সালে লুটের রায়গঞ্জ পৌরসভা ভোটের স্মৃতি ফের উস্কে দিল।
এদিন দুপুরের পরে প্রায় ১২/১৩ টি বুথে বিরোধী এজেন্টদের হুমকি দিয়ে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে গেল। রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯ নং বুথে দুপুরের মধ্যে হাজারের মতো ভোট হয়ে যাওয়ার পরে ইভিএম খারাপ হয়ে যায়। যদিও অভিযোগ জানানোর পরে টেকনেশিয়ান পৌঁছান। নাগর নদীর জল বেড়েছে। গৌড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথে জল ঠেঙিয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে হয়েছে।
সন্ধ্যে পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের হিসেব এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রায় ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
BY-ELECTION RAYGANJ
রায়গঞ্জ শহরে ভোটলুটের অভিযোগ, ফিরল পৌর নির্বাচনের স্মৃতি
×
Comments :0