JALPAIGURI DEBRAJ BARMAN CONGRESS

জলপাইগুড়িতে দেবরাজের সমর্থনে প্রচারে নামছে কংগ্রেসও

জেলা

মাঠে নেমে আলুচাষীদের কাছে জলপাইগুড়ির সিপিআই(এম) প্রার্থী দেবরাজ বর্মন। ছবি: প্রবীর দাশগুপ্ত

দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি

জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থীর সমর্থনে যৌথ প্রচারে নামছে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকি সেনগুপ্ত এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। প্রার্থী দেবরাজ বর্মনের প্রচারে নিয়ে বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মঙ্গলবার আলোচনায় বসে কংগ্রেসের জেলা নেতারা। 
সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘বিজেপি এবং তৃণমূল এই দুই দলকে পরাস্ত করাই মূল লক্ষ্য।’’ 
বুধবার সকাল সাড়ে ছটার মধ্যে প্রথমে লাটাগুড়ি বাজারে প্রচার সেরে শহরের শিরিষতলা এলাকা ও পৌরসভার ২০,২১,২২,ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার সারলেন সিপিআই(এম) প্রার্থী দেবরাজ বর্মন। লাটাগুড়ি অঞ্চলে বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন এলাকার মানুষ। তাঁরা জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ওই এলাকায় ২০২১ সালের পর থেকে বন্ধ। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে জলপাইগুড়ি শহরে ছুটতে হয়, পাশাপাশি ওই এলাকায় পাইকারি কোনো বাজার নেই। রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে ব্যাবসায়ীদের বসতে হয়। 
এদিন গ্রামীণ এলাকায় প্রচার চালান দেবরাজ। তিনি বলেন, ‘‘দারুণ সাড়া মিলছে।’’ 
লাটাগুড়ি এলাকার প্রচারে ছিলেন সারা ভারত কৃষক সভার জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক তথা পার্টির জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য আশিস সরকার, মনা বিশ্বাস, প্রদীপ কর, তরুণ পাল। শিরিষতলা থেকে শহরের চারটি ওয়ার্ড,  ও অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা , রংধামালি হাট, তালমাহার হাট ও সদর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় প্রচার করেন প্রার্থী দেবরাজ বর্মন।
সদর ব্লকের গ্রামীন এলাকায় ও চারটি ওয়ার্ডে প্রচারে অংশ নেন প্রাক্তন সাংসদ জিতেন দাস, সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্র, এরিয়া কমিটির সম্পাদক তপন গাঙ্গুলী কৃষক নেতা সুভাষ দেব প্রমুখ। 
জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে চলছে আলু তোলার মরশুম। প্রচার করতে করতে অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মাঠে গিয়ে আলুচাষিদের সঙ্গে কথা বলেন দেবরাজ। 
করোনার পর একপ্রকার জোর করে এলাকায় স্থাপিত হয়েছে স্টার সিমেন্টের মতো কোম্পানি, চিমনির ধোঁয়ায় ও ফ্যাক্টরির ধুলোয় নাজেহাল এলাকাবাসী। রাস্তাঘাটের অবস্থা নিয়েও অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত বাসিন্দারা অভিযোগ তোলেন।
শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মানুষরা অভিযোগ করেন মাসকলাই বাড়ির শ্মশানের চুল্লি ভাঙা থাকায় মৃতদেহ দাহ করার সময় বিকট গন্ধে সঙ্গিন অবস্থা।
দেবরাজ বলেন, ‘‘কেন্দ্রের তৃণমূল সরকার ও রাজ্যের বিজেপি সরকার ভাগাভাগির রাজনীতিতে ব্যস্ত। মানুষের সমস্যা নিয়ে ভাবনার এদের সময় নেই। দুই দলই কর্পোরেটদের স্বার্থে কাজ করে চলেছে। মানুষের সমস্যার কথা একমাত্র সংসদের বুকে তুলে ধরে বামপন্থীরাই। তৃণমূল এবং বিজেপির ভাগাভাগি হানাহানির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে বামফ্রন্টের পক্ষেই ভোট দিন।’’

Comments :0

Login to leave a comment