ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ১০৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসকে কেন্দ্র করে, শহরে উপস্থিত হলেন ওপার বাংলার প্রাক্তন ফুটবলাররা। সোমবার, লাল হলুদ ক্লাব তাঁবুতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সেইখানেই সবার সঙ্গে পরিচিত হন ক্লাবের প্রাক্তন খেলোয়াড় প্রয়াত মোনেম মুন্নার স্ত্রী ইয়াসমিন মোনেম, পুত্র আজমান সালিদ, প্রাক্তন খেলোয়াড় শেখ মহম্মদ আসলাম এবং মহম্মদ গোলাম ঘাউস।
সেইসঙ্গে, বাংলাদেশের আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রাক্তন সভাপতি হারুনুর রশিদ ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী মেহরিন মাহমুদও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ১৯৯১ এবং ১৯৯৩ সালে প্রয়াত মোনেম মুন্নার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের যে সমস্ত ফুটবলাররা খেলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন এই সাংবাদিক সম্মেলনে। এদিন প্রাক্তন গোলরক্ষক ভাস্কর গাঙ্গুলি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, তরুণ দে, বিকাশ পাঁজি, অলোক মুখার্জি এবং প্রশান্ত ব্যানার্জি সহ আরও অনেকে এসেছিলেন।
প্রাক্তন খেলোয়াড় শেখ মহম্মদ আসলামের মুখে শোনা গেল স্মৃতিচারণা। তিনি বললেন, “আমরা ইস্টবেঙ্গলকে অন্তর থেকে গ্রহণ করেছিলাম।“ বাংলাদেশের আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রাক্তন সভাপতি হারুনুর রশিদ জানান, “আবাহনী এবং ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে কোনও ফারাক নেই।“
প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা একবার বাংলাদেশে খেলতে গিয়েছিলাম। সেইখানে গিয়ে বুঝেছিলাম, আতিথেয়তা কাকে বলে। ভাবলেই একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়।“ বাংলাদেশের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী মেহরিন মাহমুদ জানান, “কলকাতা একটি কর্মময় শহর। এই আবেগকে আমি ভালোবাসি।“
শেখ মহম্মদ আসলামের স্ত্রী জানালেন, “ও খুব ডেডিকেটেড ছিল খেলার বিষয়ে। দিনে চারবার অনুশীলন করত। দুপুর ১টার পর আর ভাত খেত না। নিজের প্যাশনের জায়গাটা ধরে রাখত।“
Comments :0