ঝাঁসির হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি পাঠিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনার সম্পূর্ণ রিপোর্ট তলব করেছে তারা।
ঝাঁসির মহারানী লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজে বিধ্বংসী আগুনে দশ সদ্যোজাত প্রাণ হারিয়েছে। আরও ১৬ জন শিশু আগুনে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদেরও ওই ওয়ার্ডেই চিকিৎসা চলছে। অসুস্থ শিশুদের বয়স মাত্র তিন থেকে চার দিন। অভিযোগ উঠেছে, যতজন শিশুর চিকিৎসা সম্ভব তার আড়াই গুণেরও বেশি সদ্যোজাত সেদিন ভর্তি ছিল হাসপাতালে।
শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে। তবে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবং শিশুদের প্রাণহানি আটকানো সম্ভব ছিল। বিকাল পাঁচটা নাগাদ একবার শর্ট সার্কিট হয়েছিল ‘নিকু’-তেই। কিন্তু হাসপাতালের কর্মীরা তেমন গুরুত্ব দেননি। হাসপাতালের বিরুদ্ধে একাধিক গাফিলতির অভিযোগ ওঠার পর চার সদস্যের কমিটি তৈরি করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আগুনের প্রাথমিক কারণ, কোনওরকম গাফিলতি রয়েছে কি না এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত— সেই সুপারিশও জানাবে তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি ঝাঁসির ডিভিসনাল কমিশনার, দমকল বিভাগ এবং পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলকে ১২ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। তিন পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন অগ্নিকাণ্ড নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা করেছে তদন্ত কমিটি। সেখানে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গাফিলতির তত্ত্ব। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল তা ওই বিভাগের সুইচবোর্ডে শর্টসার্কিট থেকে। সেই আগুন দ্রুত অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
Jhansi Hospital Fire
ঝাঁসির হাসপাতালে আগুন নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট তলব
×
Comments :0