গত কয়েক মাস ধরে বিএসএনএলের গ্রাহক সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি দাম বৃদ্ধির ফলে গ্রাহকরা ফিরছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির মাসিক প্ল্যানগুলির সাথে বিএসএনএলের প্ল্যানের তুলনা করলে দেখা যাবে বিএসএনএলের প্ল্যানে গ্রাহকদের প্রায় ১৫০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। বিএসএনএল ম্যানেজমেন্ট এবং কর্মীরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিগুলি থেকে বিএসএনএল-এ গ্রাহকদের এই আকর্ষণ যাতে বজায় থাকে।
‘ট্রাই’-র তথ্য জানাচ্ছে, বিএসএনএলের গ্রাহক সংখ্যা জুলাই-আগস্ট মাসে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাই মাসে মোট প্রায় ৩০ লক্ষ গ্রাহক বেড়েছে বিএসএনএলের।
এর ঠিক উল্টো দিকে রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেল ও ভোডাফোন-এয়ারটেল লাগাতার গ্রাহক হারিয়েছে। শুধু জুলাই মাসে এয়ারটেলের গ্রাহক সংখ্যা কমেছে প্রায় ১৭ লক্ষ। জিও'র জুলাই মাসে গ্রাহক কমেছে ৮ লক্ষ ও ভিআই'এর কমেছে প্রায় 14 লক্ষ। ঠিক একই চিত্র দেখা গেছে আগস্ট মাসেও। বিএসএনএলের গ্রাহক বেড়েছে এই মাসেও, তাদের প্রায় ২৫ লক্ষ গ্রাহক বেড়েছে। একইভাবে প্রায় ৩০ লক্ষ গ্রাহক কমেছে জিও'র। গ্রাহক কমেছে এয়ারটেল ও ভোডারও। আগস্টে তাদের গ্রাহক কমেছে যথাক্রমে ৪০ লক্ষ ও ২৪ লক্ষ।
২০১৪ সালের কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার আসার পর সরকারি টেলিকম পরিষেবা বিএসএনএলকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। নয়া উদারবাদের গোটা পর্বেই রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থাকে দুর্বল করা হয়েছে। বিএসএনএলের বিভিন্ন টাওয়ার গুলি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেলের মত বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলিকে। জিও প্রথমে বাজার দখল করার জন্য বিনামূল্যে পরিষেবা দিলেও ধীরে ধীরে অধিক মুনাফা লাভের জন্যই বিভিন্ন টেলিকম প্ল্যান গুলির দাম বৃদ্ধি করেছে। গোটা দেশজুড়ে টাওয়ার বিক্রির বিরুদ্ধে ও বিএসএনএল সরকারি লগ্নির জন্য বিএসএনএলের কর্মীরা প্রথম থেকে লড়াইয়ে নেমেছেন। বামপন্থীরাও এই দাবিতে বরাবর সরব হয়েছে।
BSNL
বাধা সত্ত্বেও গ্রাহক বৃদ্ধি বিএসএনএল’র, পিছাচ্ছে জিও-এয়ারটেল
×
Comments :0