I.N.D.I.A MEET

সর্বত্র সমঝোতা নয় বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের স্বার্থেই, বোঝালো ‘ইন্ডিয়া’-র ঘোষণা

জাতীয়

বিরোধীদের মঞ্চকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। ভীত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। আক্রমণ মোকাবিলার করার জন্য তৈরি থাকতে হবে বিরোধীদের। শুক্রবার বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়ার’-র বৈঠকের মাঝে সংবাদমাধ্যমে এই বোঝাপড়া জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।  বৈঠকে ঠিক হয়েছে ‘যতটা সম্ভব’ সারা দেশে একসঙ্গে লড়বে মঞ্চে যোগ দেওয়া দলগুলি। 

‘যতটা সম্ভব’ একসঙ্গে লড়াইয়ের বাস্তবতা আগেই বলেছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। যেমন কেরালায় বামপন্থীদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতার প্রশ্নই নেই। তিনি বলেছেন, কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের দু’টি জোট ওই রাজ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আবার এই রাজ্যেই বিজেপি বিধানসভায় একটিও আসন পায় না। এই লড়াই অব্যাহত থাকবে। তেমনই পশ্চিমবঙ্গে চরম দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বামপন্থীরা যে আসন সমঝোতায় যাবে না, আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের স্বার্থেই পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা এই অবস্থানে। পরপর বিভিন্ন নির্বাচনে বামপন্থী, কংগ্রেস এবং সহযোগীদের শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে। বিজেপি’র শক্তি কমেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই বাস্তবতা বিচার করেই ‘যতটা সম্ভব’ বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগাভাগি কমানোর কথা বলেছে ‘ইন্ডিয়া’।  

এদিনই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরিতে এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন ‘ইন্ডিয়া’-র নেতারা। 

এদিন চন্দ্রযান-৩’র সাফল্যের জন্য ইসরোকে অভিনন্দ জানিয়ে প্রস্তাব নিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ বৈঠক। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ছয় দশক ধরে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইসরো’ এগিয়েছে। ক্ষমতা এবং দক্ষতাকে বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘আশা করা যায় এই অভিযানের সাফল্য দেশে বিজ্ঞানসম্মত চিন্তার ধারাকে শক্তিশালী করবে। বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করবে যুবসমাজকে।’’

শুক্রবারই সৌর অভিযান ‘আদিত্য এল-১’-র কাউন্টডাউন শুরু করেছে ইসরো। শুক্রবার উৎক্ষেপণ হবে মহাকাশযান। সৌরঝড় এবং সৌরকেন্দ্র সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে এই অভিযান। এই অভিযানেরও সাফল্য কামনা করেছে ‘ইন্ডিয়া’। 

পাটনা এবং বেঙ্গালুরুর পর বিরোধী দলগুলির বৈঠক হচ্ছে মুম্বাইয়ে। এদিন খাড়গে বলেন, ‘‘দেশ বাঁচাতে বিজেপি’কে রুখতে হবে। ঘৃণাভাষণ এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে রেলের কামরায় গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে সহযাত্রীদের। স্কুলের মধ্যে শিক্ষকরা ছাত্রদের মারতে বলছেন।’’

রেল পুলিশের এক কনস্টেবল কামরার মধ্যে গুলি করে হত্যা করে সহযাত্রীদের। গুলি করার সময় মুসলিম বিদ্বেষী স্লোগান দিতে শোনা যায় ওই রক্ষীকে। উত্তর প্রদেশের মুজফ্‌ফরনগর বা দিল্লিতে স্কুলের মধ্যেই শিক্ষিকাদের দেখা গিয়েছে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের লক্ষ্য করে বিদ্বেষ ছড়াতে। মুজফ্‌ফরনগরে শিক্ষিকা তাঁরই এক নাবালক ছাত্র মুসলিম বলে তাঁকে মারতে শেখাচ্ছেন সতীর্থদের।

জানা গিয়েছে দেশজুড়ে প্রচারে সমন্বয়ের জন্য ১৩ সদস্যের সমন্বয় কমিটির সদস্যদের বাছা হয়েছে বৈঠকে। 

Comments :0

Login to leave a comment