Leopard Cubs

মেটেলী ব্লকে রান্নাঘরে চিতা শাবক

জেলা

টেবিলের নীচে চিতাবাঘের শাবক। দেখেই চক্ষু চড়কগাছ বাড়ির লোকদের। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। শনিবার সকালের এই দৃশ্য দেখা যায় মেটেলী ব্লকের শালবাড়ী মোর সংলগ্ন খড়িয়া বন্দর এলাকায় রতন সুত্রধরের বাড়িতে। এদিন সকালে এক সদ্য ঘুমথেকে উঠে রান্নাঘরের দিকে যাওয়ার সময় বারান্দায় টেবিলের নীচে চিতাবাঘের শাবকটি দেখে আতকে ওঠেন। তাঁর চীৎকারে বাড়ির অনান্য সদস্যরা ছুটে আসেন। পাড়ার লোকজন দেরি করেননি তাঁরাও ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। চিতাশাবকটি তখন দিব্যি ঘোরাফেরা করছে রান্নাঘরে। পরিবারের লোকজন খবর দেয় বনবিভাগের খুনিয়া স্কোয়াডকে। খবর পেয়ে আসেন বনকর্মীরা। তাঁরা শাবকটিকে উদ্ধার করে খাঁচাবন্দী করেন। 
বাড়ির মালিক রতন সুত্রধর বলেন, ‘‘প্রতিদিন রাত্রে চিতাবাঘ ঘোরাফেরা করে। বাড়িতে পোষা গরু ছাগল মুর্গী নিয়ে যায়। পাশে একটি চা বাগান আছে। সেখানে রয়েছে বাঘের আস্তানা’’।  এই ঘটনার পর গ্রামবাসীরা চিতাবাঘ ধরতে খাঁচা বসানোর দাবি জানিয়েছেন। 
রেঞ্জার সজল কুমার দে বলেন, চিতাশাবকটি উদ্ধার করা হয়েছে। উর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশমত কাজ হবে।
অন্যদিকে এদিন চিতাবাঘের আক্রমণে আহত হলেন নাগ্রাকাটা ব্লকের ধরনীপুর চা বাগানের ডিপা লাইনের বাসিন্দা চিত্র বাহাদুর ছেত্রী। তিনি লোকসান মোড় সংলগ্ন ঝোপের পাশে গরু চরাতে গিয়েছিলেন। সেই সময় পাশের ঝোপ থেকে আচমকা একটি চিতাবাঘ তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। থাবা বসায় তার বাহাতে। প্রথমে তাঁকে লোকসান হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে শুল্কাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার সজল কুমার দে বলেন আহত ব্যক্তির চিকিৎসার সব খরচ বনদপ্তর বহন করবে।
উল্লেখ্য; গত বৃহস্পতিবার জিতি বাগানে চিতাবাঘের আক্রমণে এক ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন। এই নিয়ে তিনদিনে দুই ব্যক্তি চিতাবাঘের আক্রমণে আহত হলেন।
 

Comments :0

Login to leave a comment