শুভঙ্কর দাস
আহমেদাবাদে টসে জিতে বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। শুকনো পিচে প্রাথমিকভাবে কিছুটা বেকায়দায় পড়ে ভারত। শুভমান গিল মাত্র ৪ রানে ফিরে যান। অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাঁর বড় শটের মাধ্যমে মাতালেন গোটা স্টেডিয়ামকে। তিনি করেন ৪৭ রান।
কিন্তু শ্রেয়স আইরারের মাত্র ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়া ফের চাপে ফেলে দেয় টিম ইন্ডিয়াকে। কিন্তু হাল ধরেন বিরাট কোহলি এবং কে এল রাহুল। কিং কোহলির সংগ্রহে ৫৪ রান। অন্যদিকে, রবীন্দ্র জাদেজা করেন ৯ রান।
ফাইনালে জ্বলে উঠলেন রাহুল, তাঁর সংগ্রহে ৬৬ রান। এই লো-স্কোরিং ম্যাচে ভারতীয় দলের টেল-এন্ডাররাও পরীক্ষিত হলেন। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে, ২৪০ রান তোলে ভারত।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। অন্যদিকে ২টি করে উইকেট পান প্যাট কামিন্স এবং হ্যাজেলউড। সেইসঙ্গে, ১টি উইকেট পান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং জাম্পা। সর্বোপরি, অস্ট্রেলিয়ার দুরন্ত ফিল্ডিং-এর কথা বলতেই হবে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে, প্রাথমিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার করেন মাত্র ৭ রান। অন্যদিকে, মিচেল মার্শ করেন ১৫ রান। স্টিভ স্মিথ করেন ৪ রান।
কিন্তু আজকে যেন সবকিছু ছাপিয়ে গেলেন ট্রেভিস হেড। ঠান্ডা মাথায় খেললেন অসাধারণ ইনিংস। অনবদ্য ভঙ্গি এবং স্মার্ট ব্যাটিংকে সঙ্গী করে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেলেন। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিলেন ল্যাবুসাং।
চাপের মুখে দাঁড়িয়ে ট্রেভিস হেডের ১৩৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস সত্যিই অসাধারণ। অন্যদিকে, ল্যাবুসাং ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন শেষপর্যন্ত।
তবে অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মা সম্পর্কে কিছু কথা বলতেই হয়। যখন দায়িত্ব নেওয়ার সময়, সেই জায়গায় বিপজ্জনক শট খেলার কোনও দরকার ছিল না। আর এই ম্যাচে সূর্যকুমার যাদব আরেকটু অ্যাটাকিং যেতেই পারতেন স্লগ ওভারে, কিন্তু তিনি করলেন না।
আজকের এই ম্যাচে, অস্ট্রেলিয়ার দ্রুত উইকেট পতনের দরকার ছিল আজ। কিন্তু ভারতীয় বোলিং লাইন-আপ সেটা পারল না।
Comments :0