বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বদলানো যাবে না। ভারত, সাধারণভাবে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেনি। সেই বৈদেশিক নীতিতেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রক্ষা করা হোক।
জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাব আয়োজিত আলোচনাসভায় এই মত জানিয়েছেন বক্তাদের একাংশ। সরস্বতী পুজোয় দু’দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে সোমবার। রবিবার হয় আলোনাসভা।
"দেখো কাটে কি না দীর্ঘ রজনী- বাংলাদেশ, সেকাল ও একাল" শীর্ষক আলোচনাচক্রে অংশ নেন ইতিহাসবিদ ও লেখক আনন্দগোপাল ঘোষ, প্রাক্তন বিধায়ক বেরুবাড়ি আন্দোলনের নেতা গোবিন্দ রায়, প্রসন্ন দেব মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ রুপন সরকার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক ছিলেন সোমনাথ চৌধুরী। তিনিও আলোচনা করেন।
আলোচকদের একাংশ বলেন, বিদেশি শক্তির মদতে বাংলাদেশে মৌলবাদী শক্তি ভারত বিরোধী সক্রিয়তা জারি রেখেছে দীর্ঘদিন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বহু প্রগতিশীল এবং মুক্তমনা অংশ মৌলবাদ এবং অন্ধ ভারত বিরোধিতার বিপক্ষেও স্বর তুলেছেন বিভিন্ন সময়ে।
আলোচকরা বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মৌলবাদের বিপদকে হালকা ভাবে দেখেছে। তার পরিণতি দেখা যাচ্ছে। আগামী দিন বলবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দীর্ঘ রজনী কিভাবে কাটবে। আলোচনাসভা সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রদীপ সরকার।
সোমবার সন্ধ্যায় ফণীন্দ্র দেব স্কুলের ছাত্রদের নাটক পরিবেশনের শেষে কলকাতার শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
প্রেস ক্লাবের সম্পাদক শান্তনু কর জানান যে দু’দিনের অনুষ্ঠানে বিপুল মানুষের সমাগম হয়েছিল।
Jalpaiguri Press Club Seminar
মৌলবাদী সক্রিয়তা রোধে নজর দেননি হাসিনা, মত জলপাইগুড়ির আলোচনাসভায়
×
Comments :0