টানা অনশনের জেরে জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে।
বাকি অনশনরত ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। তাঁদের পরীক্ষার পর জানালেন আর জি কর মেডিক্যালের চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী। তিনি জানিয়েছেন অনিকেতের কিডনি ও লিভারে প্রভাব পড়েছে। আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সাত জুনিয়র চিকিৎসক। দ্রুত অবনতি হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্যের। চুপ রাজ্য প্রশাসন। পুলিশকে ব্যবহার করে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে নানাভাবে বাধা তৈরি কর হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
গত শুক্রবার ১০ দফা দাবি পূরণ ২৪ ঘন্টার মধ্যে না হলে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। গত শনিবার থেকে আমরণ অনশন শুরু হওয়ার পরও সরকার কোনো আলোচনার কথা মাথায় আনেনি। অনশনকারীদের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়েছে। সপ্তমীর দিন ধর্মতলায় অনশনস্থলের জনস্রোত সামলাতে পারছেনা পুলিশ। মানুষ ব্যাপক ভিড় জমাচ্ছেন গোটা ধর্মতলা চত্বরে, পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ, ব্যরিকেড ভেঙে ফেলেছে আন্দোলন সমর্থনকারী মানুষের স্রোত। এক কথায় অনশন তুলতে
সরকার বলপ্রয়োগ করতে চাইছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ পুলিশ রাস্তা ব্লক করে দেয়। কেসি দাসের সামনে থেকে অনশন মঞ্চের সামনে মানুষকে যেতে দেয়নি। ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হয়। সেই ব্যারিকেড ভেঙে
অনশনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ।
অনশনরত ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসিইউ। রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সও। হাসপাতালে যেতে নারাজ অনিকেত মাহাতো সহ অনশনরত অন্যান্য জুনিয়র ডাক্তাররা। কারণ অনশনরত বাকি ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।
Junior Doctor
অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার অবনতি
×
Comments :0