MGNREGA work

রেগার কাজকে হাতিয়ার করেই লড়তে হবে মোদীর বিরুদ্ধে

কলকাতা

গ্রামিন অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে রক্ষা করতে হবে এমজিএনআরইজি কাজ। ভারতে এখনও করোনা অতিমারীর প্রভাব কাটেনি। এখনও কাটেনি কর্মহীনতার সঙ্কট বরং আরও প্রকোট হয়েছে। গরীব মদ্যবিত্ত, প্রান্তিক স্তরের মানুষের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম সঙ্কট। সে কারনে অর্থনীতিবিদদের মতছিল শহরের সঙ্গে চাঙ্গা করতে হবে গ্রামিন অর্থনীতিকে। আর সেই কারণে দরকার রেগার কাজ। 


২০০৬’এ ইউপিএ-১ সরকার বামফ্রন্ট সাংসদদের ক্রমাগত চাপের ফলে গ্রামিন অর্থনীতিকে উন্নত করার জন্য এমজিএনআরইজিএ বা রেগা প্রকল্প চালু করা সিদ্ধান্ত নেয়। বছরে অন্ততপক্ষে ১০০ দিনের কাজ সুনিশ্চিত করতে হবে এই ছিল তাদের দাবি। বামপন্থী দল গুলির মূল উদ্দেশ্যই ছিল এই রেগার কাজে মাধ্যমে গ্রামের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলা। মাটি কাটা, পুকুর খনন করা, রাস্তা কাটা, জঙ্গল আগাছা পরিষ্কার করা। সরকার জবকার্ড দেবে সেই ভিত্তিতে এই সমস্ত কাজ করবে গ্রামে মানুষ ও উপার্যন করবে। কিন্তু বাস্তবে সেই পথটাই বন্ধ করতে চলছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রেগার কাজের দাবিকে আরও সুনিশ্চিত করতে আরও গ্রাম স্তরের সাধারণ মানুষকে একাট্টা করার ডাক দিল সারা ভারত খেতমজুর সংগঠন। হাওড়ার শরৎ সদনে তাদের ১০ম সর্ব ভারতীয় সম্মেলন এই বার্তাই দিলেন সংগঠনের পুনঃনির্বাচিত সভাপতি এ বিজয়রাঘবন, পুনঃনির্বাচিত সম্পাদক ভি ভেঙ্কট। 


এই সম্মেলনে রেগার কাজের বরাদ্দ কমানো এবং মোদী সরকারে গ্রামীন অর্তনীতি ধ্বংশ করার যে দুরবিসন্ধি চলছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করেন নেতৃত্ব থেকে প্রতিনীধীরা। রেগার কাজের দাবি তুলেই বিজেপিকে কোনঠাসা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন ভি ভেঙ্কট। রেগার কাজ মানে শ্রমজীবীদের লড়াই। তাই এই লড়াইকে সুসংগঠিত করতে হলে সারা ভারত খেতমজুরদের সংগঠিত করতে হবে। তাদের পাশে দাড়াতে হবে তাদের হয়ে লড়তে হবে বলে জানান ভি ভেঙ্কট। একই কথা বলতে শোনা যায় বিজয় রাঘবনকে। তিনি বলেন মোদী সরকারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে নিজেদের শক্ত হতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment