অনন্ত সাঁতরা: তারকেশ্বর
গ্রাম জেগেছে, শহর জেগেছে। এবার আমরা চোর-জোচ্চোরদের তাড়াবো। বৃহস্পতিবার হুগলী জেলার তারকেশ্বর থানার মোহনবাটী বাসস্ট্যান্ডের পাশের মাঠে আরামবাগ কেন্দ্রের সিপিআই (এম) প্রার্থী বিপ্লব কুমার মৈত্রের সমর্থনে জনসভায় এই কথাগুলি সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তীব্র দাবদাহের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে এই সভা হয়।
সেলিম ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ও হুগলী জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ, প্রার্থী বিপ্লব কুমার মৈত্র, জাতীয় কংগ্রেস নেতা হবিবুর রহমান ও সিপিআই(এম) নেত্রী অর্চনা মন্ডল। সভা পরিচালনা করেন জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য স্নেহাশিস রায়।
সেলিম বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচন কোনও সিনেমা নয়, সিরিয়াল নয়। আমাদের দেশের এবং দেশের মানুষের যে দশা হয়েছে তা বদলাতে হবে। আর দশা বদলাতে দিশা পাল্টাতে হবে। এই দিশা পাল্টাতে নীতি চাই, লক্ষ্য চাই, কর্মসূচি চাই। আর চাই মানবদরদী মন। লুঠেরা কখনো এই কাজ করতে পারে না।’’
সেলিম বলেন, ‘‘৩৪ বছর বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল। আমরা বলেছিলাম, জোতদার-জমিদারদের হাত থেকে জমি নিয়ে ‘লাঙল যার জমি তাঁর' এবং যারা উদ্বাস্তু মানুষ এসেছিলেন , ছিন্নমূল মানুষ এসেছিলেন তাঁদের জমি দেওয়া। তৃণমূল কী করছে- জোর যার জমি তার, বন্দুক যার জমি তাঁর। সন্দেশখালিতে দেখলেন তো এই সব। গোটা রাজ্যই আজ লুঠেরাদের হাতে।’’
সেলিম বলেন, ‘‘আমরা পঞ্চায়েত ব্যবস্থা তৈরি করলাম। ফুড ফর ওয়ার্ক দিয়ে শুরু করেছিলাম। কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এলে মনমোহন সিংহের ইউপিএ সরকারকে সমর্থন করি। আমরা ১০০ দিনের কাজের আইন নিয়ে এলাম। কিন্তু বিজেপি ও তৃণমূল চালালো না। কংগ্রেস ও বামপন্থীরা ১০০ দিনের আইন করলাম। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর মোদি বলল, ১০০ দিনের কাজ তুলে দিতে হবে। আর তৃণমূল ১০০ দিনের কাজের টাকা লুট করলো। আমরা বলছি, এই লুটেরাদের তাড়াতে হবে।’’
Comments :0