Miyazaki Mango

বীরভূমের মসজিদে বহু মুল্যের ‘মিয়াজাকি’ আম

রাজ্য

Miyazaki Mango ক্যাপশনঃ দুবরাজপুরে এই 'মিয়াজাকি' আম দেখতেই ভীড় জমাচ্ছেন মানুষ।

দুবরাজপুরে জাপানি আম! বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান সেই আম ফলেছে জেলা বীরভূমে। দাম?  চমকে দেবে। কেজি পিছু কম করে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। দুষ্প্রাপ্য, দামে ও মানে আর পাঁচটা ফলের থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থান এই জাপানি 'মিয়াজাকি' আমের। যার দেখা মিলেছে বীরভূমের দুবরাজপুরের এক মসজিদে। দেখতে ভীড় জমাতে শুরু করেছেন মানুষ। ফোনে বন্দি করছেন মুল্যবান সেই আমের ছবি। 


জাপানের মিয়াজাকি শহরকে ফলের রাজা বলা হয়। এই শহরে একটি বিশেষ আমের ফলন হয়। অনেকটা আপেলের মত দেখতে এই এক একটি আম ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের হয়। শহরের নামানুসারে এই আমের নাম 'মিয়াজাকি'। মসৃণ ত্বক ও লাল রঙের সৌন্দর্য্যের জন্য সূর্যদয়ের দেশে এই আমের অপর একটি নাম 'সূর্যের ডিম'। সব জলবায়ুতে এই আমের ফলন হয় না। জানা গেছে, জাপান ছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনের কিছু জায়গায় গুটি কতক এই আমের গাছ দেখা যায়। মধ্যপ্রদেশের জবলপুর শহরে এক দম্পতি এই আমের চাষ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক বাজারে মিয়াজাকি আমের দাম প্রতি কেজি প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ওই দম্পত্তি দামি আম যাতে কেউ চুরি করতে না পারে তার জন্য ৪ জন রক্ষী এবং ৬ কুকুরকে পাহাড়াদার হিসেবে রেখেছিলেন। বিশ্বের অন্যতম দামি সেই আমই ফলেছে দুবরাজপুর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বনকাঠি পাড়ার গসিয়া মসজিদে। মসজিদ কমিটি জানিয়েছে, বছর দুই আগে স্থানীয় এক যুবক সৈয়দ নিজামুদ্দিন এই গাছের চারা এনে মসজিদে লাগিয়েছিলেন। তিনি অবশ্য আর দেখে যেতে পারেন নি আমের ফলন। প্রয়াত হয়েছেন সেই যুবক। তার লাগানো চারা বড় হয়েছে ধীরে ধীরে। তাতেই এবছর ফলনও হয়েছে। ১০ থেকে ১২টি আম ধরেছে সাড়ে সাত থেকে আট ফুট উচ্চতার গাছটিতে।

 

মসজিদের ইমাম মহম্মদ রফিউদ্দিন খানের বক্তব্য, ‘‘প্রথমে আমরা জানতাম এটা একটা দামি আম গাছ। প্রথমে সবুজ, পরে বেগুনি, পেকে লাল রঙের হয়েছে আমগুলি। অন্য আমের চেয়ে আলাদা দেখতে এই আমগুলি। স্যোসাল সাইট দেখে জানতে পারি এটা মিয়াজাকি আম। পাওয়া যায় না, খুব দামি। তবে এটা গরীব মানুষের অঞ্চল। তাই আমরা ঠিক করি একটা আম বিক্রি করব। পাওয়া অর্থ মসজিদের উন্নয়নের কাজে লাগানো হবে’’।

Comments :0

Login to leave a comment