Co-ordination Committee Conference

পথে নেমে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্মেলনে

রাজ্য জেলা

Co-ordination Committee Conference

স্থায়ী এবং অস্থায়ী সমস্ত কর্মাচারীদের সাথে ও তাদের পরিবারের সাথে নিবিড় বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলুন। ভয়কে জয় করে প্রতিদিনকার ঘটনা কর্মচারীদের সামনে তুলে ধরুন।

 

 

 পথে নেমে লড়াই সংগ্রাম যেমন করবো, ঠিক তেমনি প্রযুক্তির উন্নতিকে ব্যবহার করে, যান্ত্রিকতা সরিয়ে, আসুন আমরা চেতনা সমৃদ্ধ ইস্পাত দৃঢ় ক্রিয়াশীল সংগঠন গড়ে তুলি। শনিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী সমিতি সমূহের রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সপ্তদশ সম্মেলন মঞ্চে লাল আলো জ্বালিয়ে উদ্বোধনী ভাষণে সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে এমনই আহ্বান জানান সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তাপস চক্রবর্তী। 

 

 

এদিন তিনি তার বক্তব্যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মানুষ মারা নীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তার তীব্র সমালোচনা করেন এবং এর পাশাপাশি দিল্লির কৃষক আন্দোলন এবং কোভিড পরিস্থিতিতে রেডভলান্টিয়ারদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন প্রবাহমান দুনিয়ার ঘটনাগুলিকে বিশ্লেষণ করে হস্তক্ষেপ করতে হবে। ডি এ আদায় হলেই কাজ কী শেষ হয়ে গেল? না।সমকাজে সমবেতনের যে গুরুত্বপূর্ণ দাবি, তাকে আরও জোরালো করে তুলতে হবে। নতুন নতুন উপাদান, পরিস্থিতি সামনে আসবে। যদি তা ইতিবাচক হয় তবে নিজেদের অধিকারকে সুরক্ষিত করে নুতন নতুন দাবি যুক্ত করে এগিয়ে যেতে হবে। আর যদি তা নেতিবাচক হয়? তখন অর্জিত অধিকার রক্ষা করতে সংগঠনের শক্তিকে সংহত করে তাকে পশমিত করতে হবে। না হলে আক্রমণ নেমে আসবে। ব্যর্থতা চিহ্নিত করে, হতাশা কাটিয়ে সচল সংগঠন তৈরি করুন। সবার সাথে মন খুলে কথা বলুন। 

 

 

সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানিয়ে এবং সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে বক্তব্য রাখেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ১২ই জুলাই কমিটির পক্ষে দুলাল পাল। শুরুতে এদিন সুসজ্জিত ট্যাবলো সহ ডি এ চোর সরকার আর নেই দরকার আওয়াজ তুলে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। প্রস্তুতি কমিটির ব্যানার নিয়ে মহিলা কর্মচারীবৃন্দ রক্ত পতাকা উর্ধ্বে তুলে শোভাযাত্রার শুরুতে অংশ নেয়।
তারপর সংগঠনের জেলা কমিটির ব্যানারকে সামনে রেখে জেলা নেতৃত্ব শোভাযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নবীন এবং প্রবীণ কর্মচারীবৃন্দ তারাও উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। বসিরহাট পৌরসভা সংলগ্ন দিশারী ভবন থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। 

 

বসিরহাট মহকুমা সংশোধনাগার, আদালত, বসিরহাট হাইস্কুল, ইছামতী সেতু পেরিয়ে ইটিন্ডা রোড ধরে শোভাযাত্রা এসে শেষ হয় টাউনহল প্রাঙ্গণে। সেখানে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের রক্ত গোলাপ দিয়ে উষ্ঞ অভিবাদন জানানো হয়। রক্ত পতাকায় সজ্জিত সুবিশাল মঞ্চে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা সভাপতি দূর্গা রায়, জেলা যুগ্ম সম্পাদকের অন্যতম পার্থ প্রতীম গোস্বামী, প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি সুশান্ত মুখার্জি, অনাদি শঙ্কর মিশ্র সহ অন্যান্য।সম্মেলন স্থলে জেলার কনিষ্ঠতম সদস্য কমরেড মলয় চক্রবর্তী স্মরণে মার্কসীয় ও প্রগতিশীল পুস্তক বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এদিন তার দ্বারোদঘাটন করেন কর্মচারী আন্দোলনের প্রবীণ নেতা প্রতাপ মুখার্জি।তিনি লড়াই সংগ্রামের সাথে সাথে চেতনাকে শানিত করতে প্রগতিশীল পুস্তক চর্চার কথা বলেন। 

 

উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুশান্ত মুখার্জি। কমরেড গুরুপদ সরকার নগর(বসিরহাট) ও কমরেড ভরত চন্দ্র বিশ্বাস মঞ্চে(টাউনহল) সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করেন যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জীব বসু। সম্মেলন পরিচালনা করছেন দূর্গা রায়, নিরঞ্জন মণ্ডল ও উত্তম দাসকে নিয়ে গঠিত সভাপতিমণ্ডলী। সম্মেলন চলবে রবিবার পর্যন্ত।  

Comments :0

Login to leave a comment