দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি
মাছ চাষ শুরু করেছিলেন শখ করে। বেছে নিয়েছিলেন বাড়ির পড়ে থাকা জায়গা। এখন শখই উপার্জনের পথে দেখাচ্ছে মহেশ রায়কে।
জলপাইগুড়ি শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে কৃত্রিম উপায়ে মাছের প্রজনন করে এখন লাভের মুখ দেখছেন যুবক মহেশ রায়। তাঁর বাড়ি ভানুনগর এলাকায়।
বিকল্প পদ্ধতিতে মাছের চাষ করে গ্রাম বাংলার অনেকেই লাভের মুখ দেখলেও জলপাইগুড়ি শহরে এমন উদ্যোগ চোখে পড়ে কম।
মহেশের বাড়ির পড়ে থাকা জায়গায় মাগুর, সিঙ, কই, পাবদার মতো মাছের প্রজনন করে এখন নিজে বছরে ভালো অর্থ উপার্জন করছেন মহেশ। মাছের চাষ করেছিলেন স্রেফ শখে। বাড়ির যে অংশ কোনও কাজে লাগে না সেখানে মাটি খুঁড়ে জল রেখে মাছে চাষ শুরু করেন। সেখান থেকে তাঁর উপার্জনের জায়গা তৈরি হয়েছে।
মহেশ বলেন, ‘‘এখন এই সব ধরনের মাছের কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন নিজেই করাই। তাদের লালন পালন করে ভাল অর্থ উপার্জনও হচ্ছে। যদিও এটা আমার শখ।’’
এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর ডিওয়াইএফআই জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রদীপ দে মহেশের উদ্যোগ সম্পর্কে জানেন। তিনি বললেন, ‘‘নিজের উদ্যোগে ভালো মাছের চাষ করছেন মহেশ। গ্রাম বা শহরে ছেলেমেয়েদের কাজ নেই। সঠিক পরিকাঠামো, প্রশিক্ষণ ও ঋণের ব্যবস্থা করতে পারে সরকার। সিঙ, মাগুর, পাবদা, ট্যাংরা বা রঙিন মাছ চাষ করে অনেকে উপার্জনের পথ পেতে পরতেন।’’
পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে রঙিন মাছ ও অন্যান্য প্রজাতির মাছ চাষের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল গজলডোবা ব্যারেজ সংলগ্ন মান্তাদারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। সেখানে এখন "ভোরের আলো" তৈরি হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাজারে রঙিন মাছের কম দাম মেলে। সরকারি সাহায্য নেই। ফলে রঙিন মাছের চাষে উৎসাহ হারিয়েছেন স্থানীয়রা।
মহেশ রায় যদিও চাইছেন তাঁর উদ্যোগের পরিসর বাড়াতে। তিনি বলছেন, ‘‘চিন্তা ভাবনা রয়েছে বড় জায়গায় মাগুর, সিঙ, কই ,পাবদার প্রজনন করার। সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে যাতে এই মাছগুলির দাম থাকে তার চেষ্টা করব।’’
Comments :0