RANUNAGAR ARREST LEFT-CONG

রানিনগরে গ্রেপ্তার বাম-কংগ্রেসের ৩৬ কর্মী

জেলা

গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস কর্মীদের।

রানিনগরে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। তার জেরে শনিবার বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের ৩৬ কর্মীকে গ্রেপ্তার করল তৃণমূল সরকারের পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ৪ জনকে দু’দিনের জন্য পুলিশ হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৩২ নেতা ও কর্মীকে ১৪ দিনের জন্য পাঠানো হয়েছে জেল হেপাজতে। ১১ সেপ্টেম্বর রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতিতে স্থায়ী কমিটি গঠনের সভা রয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের রানিনগরে সমাবেশ ছিল কংগ্রেসের। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরিরানিনগরের প্রাক্তন বিধায়ক ফিরোজা বেগমবক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা। সভার শেষের দিকে মাঠ ছেড়ে বেরচ্ছিলেন মানুষ। অভিযোগ,  সেই সময়ে থানার বহরমপুর শেখপাড়া রাজ্য সড়কের উপর গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। সভা থেকেই থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেন কংগ্রেস নেতারা। এর পরেই থানার সামনে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। ঘটনার জন্য পুলিশকেই দায়ী করেছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ।

পঞ্চায়েত ভোটের বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই বারেবারে উত্তপ্ত হয়েছে রানিনগর। মনোনয়ন পর্বের আগে এই থানার বাইরেই হামলা করা হয়েছে সিপিআই(এম) নেতা ও কর্মীদের উপর। রানিনগর থানা থেকে ৬০ মিটার দূরে তৃণমূলের অফিসের বাইরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। 

পঞ্চায়েত ভোটে রানিনগর-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস। ২০১৮ থেকে ২০২৩ এই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতির অফিস থেকেই চলত তৃণমূল দল। ব্লক অফিস ছিল সমাজবিরোধীদের আখড়া। এই পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ৩১।  তৃণমূল জেতে ১৩ আসনে১৩ টি আসনে জেতে কংগ্রেস। সিপিআই(এম) প্রার্থীরা জেতেন ৪ আসনে১ টি আসনে জেতেন আরএসপি প্রার্থী।  পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেস সদস্য মহম্মদ কুদ্দুস আলিসহ সভাপতি হয়েছেন আরএসপির আয়েশা সিদ্দিকা। পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই এলাকায় এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে তৃণমূল। 

সিপিআই(এম) মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন‘‘এই অশান্তির দায় সম্পূর্ণভাবে পুলিশের। রানিনগর-২ ব্লকে রাজনৈতিক জমি হারিয়েছে তৃণমূল। পুলিশ, প্রশাসনকে সেই জমি উদ্ধারের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।’’ শুক্রবারই বহরমপুরে অধীর চৌধুরি বলেন‘‘পুলিশ সভার উদ্দেশ্যে আসা মিছিলে বাধা দিয়েছে। কংগ্রেসের কর্মীদের পুলিশ মারধর করে। পুলিশের দুর্বিনীত ব্যবহারে মানুষ অতিষ্ঠ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।’’

Comments :0

Login to leave a comment