Protest Rally for Kamduni

দশ বছরেও শেষ হয়নি ধর্ষণ-হত্যার বিচার, প্রতিবাদ কামদুনিতে

রাজ্য জেলা

Protest Rally for Kamduni


ধর্ষণ-হত্যার সেই ঘটনায় প্রতিবাদ ছড়িয়েছিল গোটা রাজ্যে। প্রায় দশ বছর আগের সেই ঘটনায় এখনও চলছে বিচার। ২০১৩’র ৭ জুন হয়েছিল হত্যাকাণ্ড। বিচার এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে বুধবার প্রতিবাদ মিছিল হলো কামদুনিতে। স্মরণ করা হলো সেই ছাত্রীকে। 
কামদুনি গ্রামের সেই ছাত্রীর জন্য বিচারের দাবিতে পথে নেমেছিলেন মানুষ। বাধা দিতে নেমেছিল সরকারে আসীন তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিবাদীদের শাসানি-হুমকির বহু ঘটনা সামনে এসেছিল।

ডিরোজিও কলেজের ছাত্রীকে স্মরণ করে কামদুনি গ্রামে প্রবেশ দ্বারে স্মরণ বেদিতে প্রতিকৃতি রেখে, তাঁর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মোমবাতি জ্বালানো হলো এদিন। প্রতিবাদ সভার পরে, সেখান থেকে প্রতিবাদী মিছিল হয়। যে স্থানে এই নৃশংস ঘটনা হয়েছিলো সেখানে মিছিল সহকারে গিয়ে ফের প্রদীপ জ্বালানো হয়। ছিলেন সিপিআই(এম) নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য, মহিলা আন্দোলনের নেত্রী রমলা চক্রবর্তী, অপর্ণা গুপ্ত, কামদুনি স্কুলের প্রতিবাদী প্রধান শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী, ছাত্রীর বন্ধু এবং প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়াল। ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদিকা রুণু ব্যানার্জি ও বিভিন্ন গণ সংগঠনের অনেকে ছিলেন। ছিলেন গ্রামবাসীরা। 


২০১৩ সালের ৭ জুলাই কামদুনি গ্রামের মেয়ে কলেজ ছাত্রীকে রাস্তা থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। রাজ্যজুড়ে তীব্র আন্দোলন হয়েছিল। আন্দোলনের চাপে এই ঘটনার তদন্ত যায় সিআইডির হাতে। ২০১৬ সালে কামদুনি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা করেছিল বারাসাত জেলা আদালত। কামদুনি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল ৯ জন। শুনানির সময়ই গোপাল নস্কর নামে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। দুই অভিযুক্ত রফিক গাজি ও নুর আলিকে বেকুসুর খালাস করে দেয় আদালত। সাজা দেওয়া হয়েছিল ৬ জনকে।
দীর্ঘ নয় বছর পর কামদুনি ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সাজা মকুবের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ৬ জেলবন্দি আসামী। বারাসাত জেলা আদালত থেকে এই ঘটনার মামলা স্থানান্তরিত হয়ে ছিলো কলকাতা উচ্চ আদালতে। বৃহস্পতিবার ফের মামলাটি ওঠার কথা।

 

Comments :0

Login to leave a comment