Protest against corruption in Awaas Yojna

আবাস যোজনায় দুর্নীতির প্রতিবাদে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ

জেলা

Protest against corruption in Awaas Yojna Panchla BDO Office

আবাস যোজনা দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার লাল ঝাণ্ডা নিয়ে বিডিও অফিস ঘিরে ফেললেন পাঁচলার বঞ্চিত মানুষ। বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনকে। রীতিমতো পুলিশ দিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিডিও অফিসের বাইরে বের করে দেয় প্রশাসন। ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগ, গরিব মানুষ আবাস যোজনায় ঘর পাননি। অথচ স্বচ্ছল পরিবার আবাস যোজনার ঘর পেয়েছেন। দুর্নীতিগ্রস্তদের গ্রেপ্তার না করে বঞ্চিত মানুষদের পুলিশ আটকাচ্ছে।

আবাস যোজনায় গরিবের ঘর মেলেনি। ঘর পেয়েছে বড়লোক।  এদিন পাঁচলা বিডিও অফিসের সামনে নাছোড় দাবিতে ক্ষোভ জানালেন মানুষ। সারা ভারত কৃষক সভা, খেতমজুর ইউনিয়ন, এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির ডাকে এদিনের বিক্ষোভ সভায় নেতৃত্ব দেন সারা ভারত কৃষক সভার হাওড়া জেলা সম্পাদক পরেশ পাল, কৃষক নেতা নবীন ঘোষ, ইসরাইল মোল্লা প্রমুখ।  

 

বঞ্চিত মানুষের অভিযোগ, আবাস যোজনার তালিকা যাচাইয়ের কাজে দুর্নীতি হয়েছে। এই অভিযোগে পাঁচলা বিডিও অফিসে ডেপটেশন দেওয়া হয়। নাছোড় দাবিতে বিডিও অফিস ঘিরে রাখেন বঞ্চিত মানুষ। ঘর না পাওয়া উপভোক্তারা বিডিও অফিস চত্বরে প্রবেশ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বেশ কিছুক্ষন বিক্ষোভ চলার পর পাঁচলা থানার পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিডিও অফিসের বাইরে বলপূর্বক বের করে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। বিক্ষোভ কর্মসূচীতে শামিল পাঁচলার বিকি হাকোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলতলার বাসিন্দা ইয়াসমিন বেগমের অভিযোগ, ভগ্নপ্রায় টালির চালের বাড়ি থাকায় আবাস যোজনায় দুইবার আবেদন করেও তালিকায় নাম ওঠেনি। এমনকি তালিকা যাচাইয়ের সময়ও আধিকারিকরা তার বাড়িতে যাননি। ইয়াসমিন বেগমের মত জাবেদা বেগম, রহিমা লস্কর, রহিমা বেগম মালেরও অভিযোগ, বেশ কয়েকবার নতুন বাড়ির আবেদন করেও তালিকায় নাম ওঠেনি। যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তাদের নাম তালিকায় তোলা হযেছে।  

বঞ্চিত মানুষের অভিযোগ, সঠিকভাবে তালিকা তৈরি না হওয়ায় বহু সংখ্যাক উপভোক্তা আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। গরীব মানুষদের পরিবর্তে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিরা আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন কৃষক নেতৃত্ব। পাঁচলা বিডিওকে মঙ্গলবার ডেপুটেশন দেওয়ার পর প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়েছে এখন আর নতুন করে তালিকায় নাম তোলা যাবেনা। পরিবর্তে আগামী বছরের এপ্রিল মাসে নতুন পোর্টাল খুললে তখন নতুন নাম তোলা যাবে। প্রশাসনের এই প্রস্তাবে রাজী হয় নি কৃষক-খেতমজুর সংগঠন। যতদিন দাবি মেনে নতুন তালিকা তৈরি হচ্ছে না, ততদিন  আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতৃত্ব।
 

Comments :0

Login to leave a comment