সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজস্থানে বিজেপি ১১৫ এবং কংগ্রেস ৬৯ আসনে এগিয়ে রয়েছে। রাজ্যে মোট ২০০ বিধানসভা আসন রয়েছে।
প্রতি পাঁচ বছরে রাজস্থানে বদলে যায় সরকার। রাজস্থানে আশির দশক থেকে শুরু হওয়া নির্বাচনী প্রবণতায় ছেদ পড়ল না এবারেও। বিজেপির কাছে হার মানতে হল অশোক গেহলটকে।
সদ্য প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট গতবারও খুব স্বস্তিজনক অবস্থাব ছিলেন না। ২০০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস জয়ী হয় ১০০ আসনে। বিজেপি পেয়েছিল ৭৩ আসন। ১৩ নির্দলের একটি অংশ এবং বিএসপি’র ৬ বিধায়ক সমর্থন করেন গেহলটকে।
গতবার এ রাজ্যে দুই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল সিপিআই(এম)। ভাদরায় বলওয়ান পুনিয়া এবং দুঙ্গরগড় কেন্দ্রে গিরিধারীলাল মাহিয়া জয়ী হন। এবার ধোদ কেন্দ্রে প্রাক্তন বিধায়ক পেমা রাম ফের প্রার্থী। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক এবং দীর্ঘদিনের বিধায়ক অমরা রাম প্রার্থী সিকর জেলার দাতা রামগড়ে।
ভাদরায় বলওয়ান পুনিয়ে ১৯ রাউণ্ড শেষে ১১০০ ভোটে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। দুঙ্গরগড়ে ত্রিমুখী লড়াই হয়। ৫৬ হাজারের বেশি ভোট পেয়েও বিজেপির কাছে ৮ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন গিরিধারীলাল মাহিয়া। রাইসিংনগর আসনে সিপিআই(এম) প্রার্থী শোপৎরাম মেঘওয়াল ৬১ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। ধোঁধ আসনে ৭২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন সিপিআই(এম) প্রার্থী প্রেমা রাম। যদিও তিনি বিজেপির কাছে ১৩ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
বিজেপি’র প্রধান মুখ কেউ না থাকলেও বসুন্ধরা রাজের পিছনেই দাঁড়াবেন বিধায়কদের বেশিরভাগ, অনুমান তেমনই। এ রাজ্যে কংগ্রেসের বিপক্ষে গিয়েছে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের একাধিক ঘটনা। তার ওপর প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের সঙ্গে গেহলটের সংঘাত সুবিদিত। দিল্লির কংগ্রেস নেতারা যদিও দাবি করছেন টঙ্কে দলের প্রার্থী পাইলট অন্তত ভোটের সময় সরকারকে বিপাকে ফেলেননি
Comments :0