CONGRESS VOTE RESULT

‘দক্ষিণে সাফ-উত্তরে হাফ বিজেপি’, বলছে কংগ্রেস

জাতীয় লোকসভা ২০২৪

নির্ণায়ক গরিষ্ঠতা নিশ্চিত। সংবাদসংস্থার সাক্ষাৎকারে এই দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। 
রমেশ বলেছেন, ‘‘প্রথম দু’দফাতেই নিশ্চিত ছিলাম আমরা, নির্ণায়ক গরিষ্ঠতা মিলবে। এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বিজেপি দক্ষিণে সাফ-উত্তরে হাফ।’’
কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও বলেছেন, ‘‘এই নির্বাচন কোনও দলের লড়াই নয়। লড়াই হচ্ছে দেশের জনতার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর। গণতন্ত্র এবং সংবিধানের ওপর এত বড় মাপের হামলা অতীতে হয়নি। এই হামলা দেশবাসী মেনে নিচ্ছেন না।’’ 
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের উপাদানকে অন্যতম সূচক মনে করছেন রমেশ। তিনি বলছেন, ‘‘প্রথম দফার ভোট হয়েছে ১৯ এপ্রিল। তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষা বদলে গিয়েছে কিভাবে দেখুন। যত দিন যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে কেবল হিন্দু-মুসলিম, মঙ্গলসূত্র, বুলডোজার।’’
উত্তর প্রদেশ, ছত্তিশগড় বা রাজস্থানের মতো উত্তর ভারতের রাজ্য তো বটেই, এমনকি দক্ষিণে কর্ণাটক বা মহারাষ্ট্রে প্রায় সাফ হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। 
রমেশের দাবি, ‘‘এই সব রাজ্যেই কংগ্রেস বাড়ছে। আর কমছে বিজেপি।’’ তিনি বলছেন, ‘‘‘‘এখন তো আর বিকাশ বা বিকশিত ভারত নিয়েও কোনও কথা নেই নরেন্দ্র মোদীর মুখে। এমনকি ‘মোদী কি গ্যারান্টি’ নিয়েও কোনও কথা নেই। এবার নিজেকে ভগবানের অবতার বলে ভাষণ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’’
‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ জয়ী হলে পাঁচ বছরে পাঁচ প্রধানমন্ত্রী দরকার হবে বলে প্রচার করছেন মোদী। তা নিয়ে এক প্রশ্নে রমেশের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মোদী মিথ্যার মহামারী ছড়াচ্ছেন। পাঁচ বছরে পাঁচ প্রধানমন্ত্রীর কথা বলছেন। ২০০৪ সালে কী হয়েছিল? ভোটের ফ বেরনোর তিন দিনের মধ্যে মনমোহন সিং-কে বেছে নিয়েছিল ইউপিএ। মনমোহন সিং টানা দশ বছর সরকার চালিয়েছেন।’’
ঝাড়খন্ডের দেওঘরে এদিন জনসভা করেন জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। খাড়গে বলেছেন, ‘‘সংবিধান আর দেশকে বাঁচানোর জন্য ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ লড়াই চালাচ্ছে। সব অংশের বিপুল সাড়া মিলছে।’’
তেজস্বী বলেছেন, ‘‘এই সংবিধান তৈরি করেছেন বাবাসাহেব আম্বেদকর। দলিত, আদিবাসী, পিছড়ে বর্গের সংরক্ষণের অধিকার দিয়েছে এই সংবিধান। সেই অধিকার কেড়ে নিতে চায় বিজেপি। বদলাতে চায় সংবিধানকে। এত সহজে তা হতে দেব না। বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধানকে বদলানো যাবে না।’’
তেজস্বী জোর দিয়েছেন ৩০ লক্ষ সরকারি চাকরি, মহিলাদের বছরে ১ লক্ষ টাকা অনুদানের ঘোষণাতেও।

Comments :0

Login to leave a comment