উৎপল মজুমদার ও অরিজিৎ মন্ডল-মালদহ
সস্তার রাজনীতি নয়, বাংলাকে বাঁচাতে দরকার মেহনতির পক্ষে বিকল্পের রাজনীতি। সেই রাজনীতির পক্ষে বামপন্থীদের সঙ্গে থাকার আবেদন জানালেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি। বৃহস্পতিবার মালদহের বিভিন্ন অংশ ঘুরে ইংরেজ বাজারের রথবাড়ি মোড়ে জন সভায় মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, জয়নগরে মেয়ের জন্য চেয়েছিল দুটো দেশি মুরগি। বাবা মা দেশি মুরগি দিয়েছিল। কিন্তু মেয়েকে জ্যান্ত পায়নি। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সেই অভিজ্ঞতা। বলেছেন শিশু ধর্ষণ আর ধর্ষককে পিটিয়ে মারার ঘটনা। বলেছেন, ভয়াবহ হচ্ছে নৈরাজ্য। কেউ নিশ্চিন্ত নয়। কেউ নিরাপদ নয়। এই বাংলা বদলানোর ডাক দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, সবার মনে আতঙ্কে। বারবার ভয় দেখানো হচ্ছে। যত রামনবমীর মিছিল বাড়ছে, তাজিয়ার মিছিল বাড়ছে। আবার তত টোটো রেজিস্ট্রেশন নির্দেশিকার বিরুদ্ধে মিছিল ও বাড়ছে। এটাই লালখান্ডার সাফল্য। তিনি তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যে ওবিসি শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে বেনিয়ম। যার জেরে হঠাৎ বন্ধ হয়েছে সার্টিফিকেট। তিনি বলেছেন শঙ্কা যত বাড়ছে তত নৈরাজ্যের প্রবণতা বাড়ছে। মীনাক্ষী বলেছেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা কম মজুরি আর ঠিকা কাজ। সিভিক ভলান্টিয়ার মানেও সেই কম মজুরি, ঠিকা নীতি। মন্দির মসজিদ রাজনীতির কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। বলেছেন বড় বিপদ জীবিকার। যেমন যে মহিলা বিড়ি শ্রমিক সারা মাস বিড়ি বাঁধছে আর পাচ্ছে মাত্র তিন হাজার টাকা, সমস্যা তার।।সামাজিক সমস্যা পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মালদহে মিথ্যা বলছেন। পরিযায়ী শ্রমিকরা নাকি ৫ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। কে কোথায় পেয়েছে পাওয়া যায় না।
মীনাক্ষী বলেন, আমরা বলছি, রাজ্যে কাজ দিতে হবে। এই বাংলায় ছোট কারখানা হয়েছিল। আমরা পেরেছিলাম, বামফ্রন্ট সরকার পেরেছিল। মালদহে ফল আছে, খাদ্য প্রক্রিয়া করণ করতে পারব। পরিযায়ী শ্রমিক কাজ পাবেন। আমরা পরিযায়ী শ্রমিক কার্ড দেব। তাঁর চিকিৎসা, রেশন যে রাজ্যে কাজ করছে সেখানে হবে। তাঁকে কার্ড দেব আমরা। তিনি বলেন, ডিয়ার লটারি, মদের দোকান, নারী পাচার বাংলার ভবিষ্যৎ হতে পারে না। তার জন্য রাজনীতি দরকার, বামপন্থীরা সেই রাজনীতির পক্ষে। মীনাক্ষী বলেন, যারা তৃণমূলকে হারাতে বিজেপিকে ভোট দিলেন, তারা নেতাদের জিজ্ঞেস করুন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা কি করে। কটা চুরি আটকেছে? তৃণমূলের কর্মীদের জিজ্ঞাসা করছি, দলের নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কেন বন্ধ রেগা?
Comments :0