সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এথিক্স কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশদ আলোচনার সুযোগ দিতে হবে। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বহিষ্কার সংক্রান্ত রিপোর্ট ঘিরে সোমবার এই দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। 
তালিকায় থাকলেও সোমবার এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ করেনি এথিক্স কমিটি। মঙ্গলবার পেশ হতে পারে রিপোর্ট। 
সোমবার লোকসভার কার্য পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠক হয়েছে। ফৌজদারি বিচারবিধি দলের তিনটি ‘সংহিতা’ বিলে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা। কমিটিতে ঠিক হয়েছে এই তিন বিলের জন্য ১২ ঘন্টা বরাদ্দ থাকবে। 
সোমবার শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এদিন বৈঠকে ঠিক হয়েছে ৩ ঘন্টা আলোচনা হবে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিতর্কিত বিল নিয়েও। 
মঙ্গলবার মহুয়া মৈত্রের বহিষ্কার ঘিরে লোকসভায় কড়া বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ জানান বিজেপি’র নিশিকান্ত দুবে। অধ্যক্ষের সুপারিশ বিষয়টি আলোচনা হয় এথিক্স কমিটিতে। কিন্তু ‘ফিক্সড ম্যাচ’ চালানোর অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। ৯ নভেম্বর রিপোর্ট গ্রহণ করেন বিজেপি সাংসদ এবং এথিক্স কমিটির সভাপতি বিনোদ সোনকার। বিরোধী ৪ সাংসদ কমিটির বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। 
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘‘আজ রিপোর্ট পেশ হলো না কেন কমিটির প্রধানই বলতে পারবেন। কে কমিটিকে রিপোর্ট পেশ না করতে বাধ্য করল আমরা জানি না।’’
দুবে অভিযোগেই স্পষ্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং ব্যবসায়ী গৌতম আদানি ঘিরে প্রশ্ন তোলাতেই তাঁর আপত্তি। অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি খাটো করতে অন্য ব্যবসায়ীর থেকে অর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মহুয়া মৈত্র।
উল্লেখ্য, টাকা নেওয়ার কোনও প্রমাণ কমিটির কাছে নেই। লোকপাল বিষয়টি তদন্তের ভার দিয়েছে সিবিআই’কে। এই সিদ্ধান্ত যে হতে যাচ্ছে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। বারবারই কমিটির আলোচনা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। লোকসভায় গরিষ্ঠতা বিজেপি’র। রিপোর্টে বহিষ্কারের সুপারিশকে বেশিরভাগ সাংসদ সমর্থন জানালে মৈত্রের সাংসদপদ খারিজ হবে। 
মৈত্রের পক্ষে দীর্ঘসময় মুখ না খোলায় প্রশ্নের মুখে পড়ে তৃণমূল।