দেশের সব রাজ্যে প্রভাব ফেলল ‘ভারত বন্ধ’। কৃষক এবং খেতমজুরদের শতাধিক সংগঠনের মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ যৌথভাবে শুক্রবার এই কর্মসূচি ঘোষণা করে।
গ্রাম ভারত এবং বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্র ধর্মঘটের চেহারা নেয় এদিন। ফসলের দামের আইন, বিদ্যুৎ আইনে সংস্কার এবং স্মার্ট মিটার বাতিলর পাশাপাশি কাজ এবং সরকারি সংস্থা আদানির মতো বেসরকারি কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে ডাকা হয় ভারত বন্ধ ও শিল্পক্ষেত্রে ধর্মঘটের কর্মসূচি।
রাজস্থানের জয়পুরের মতো বিভিন্ন এলাকায় পথে নামে শ্রমিক এবং কৃষকরা। হিমাচলে সিমলা এবং মাণ্ডিতে হয়েছে বিশাল মিছিল। হরিয়ানার পালওয়ালে বিরাট মিছিল করেন শ্রমিক এবং কৃষকরা। পরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সারা ভারত কিসান সভার সাধারণ সম্পাদক বিজু কৃষ্ণান।
এদিনের কর্মসূচিতে ফের পথে নামেন উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার শ্রমজীবীরা। এখানেই পরিকাঠামোর সরকারি কাজে জমি হারিয়েছেন কৃষকরা। ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে দীর্ঘ লড়াই চালাচ্ছেন। গ্রেটার নয়ডার পরী চকে রাস্তা অবরোধ হয়েছে। অংশ নেন বহু মহিলা। নয়ডায় বিশাল মিছিল দীর্ঘ এলাকায় ঘুরেছে।
লুধিয়ানায় হিরো সাইকেলের শ্রমিকদের মিছিল শুক্রবার।
বিজু কৃষ্ণান বলেছেন, ‘‘২০২০’র আন্দোলনের প্রধান দাবি ছিল তিন কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। বিদ্যুৎ আইনে সংস্কার বাতিল করতে হবে। কৃষি আইন বাতিল হয়। ২০২১-এ আন্দোলন তুলে নেওয়া হয়। প্রায় এক বছর দিল্লি ঘিরে বসেছিলেন কৃষক এবং শ্রমজীবী মানুষ। কেন্দ্রের সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে আইন হবে। আজও তা হয়নি। সে কারণে পথে নেমেছেন কৃষক-শ্রমিকরা।’’
এর আগে ২৬ জানুয়ারি কৃষক এবং শ্রমিকরা দেশের সব জেলায় ট্রাক্টর প্যারেড হয়। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু সরকার আলোচনা করেনি। এর মধ্যেই কৃষকদের কয়েকটি সংগঠন একই দাবিতে ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়ে পথে নেমেছে। হরিয়ানায় বিজেপি সরকার তাঁদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে, লাঠি চালাচ্ছে। প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেয় সংযুক্ত কিসান মোর্চা।
তামিলনাডুর বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করেছেন শ্রমিক-কৃষকরা। মহারাষ্ট্রের পালঘরে মিছিলে অংশ নেন বহু মহিলা। শ্রীনগরের প্রেস কলোনি জম্মু ও কাশ্মীর অ্যাপেল ফারমার্স ফেডারেশন এবং সিআইটিইউ যৌথ বিক্ষোভ দেখায়। পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় পথে নেমেছেন হিরো সাইকেলের মজদুররা।
Comments :0