SC ADANI SEBI

আদানিকাণ্ডে ‘সেবি’ তদন্তে দেরি কেন, ব্যাখ্যা নেই রায়ে

জাতীয়

তদন্ত গোটাতে পারছে না কেন সেবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তার ব্যাখ্যা থাকল না। আদানি-হিন্ডেনবার্গ কাণ্ডে বিশেষ তদন্ত দল গড়ার আর্জি খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। সেবি’কে বাকি রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ৩ মাস সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। তবে এই রায় ঘিরে গুরুতর একাধিক প্রশ্ন সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের শেবার বাজার নিয়ামক প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ডের আংশিক রিপোর্টে, এর আগে, তল পর্যন্ত যেতে না পারার সমস্যাও ধরা পড়েছিল। পৃথক একটি রিপোর্টে দেখা যায় আদানিদের ঘনিষ্ঠ এবং সংস্থার কর্মীদের হাত ধরেই বিদেশ থেকে ঘুরপথে ভারতের শেয়ার বাজারে বিপুল টাকা বিনিয়োগ হয়েছে কেবল আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারে।
আদানি-হিন্ডেনবার্গ কাণ্ডের তদন্ত চালাবে ‘সেবি’-ই। বিশেষ তদন্ত দল গঠনের আর্জি খারিজ করে বুধবার এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একাধিক সংবাদ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে বিশেষ তদন্ত দল গড়ে তদন্তের জন্য জনস্বার্থ আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। এর আগে ২৪ নভেম্বর রায়দান স্থগিত ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় দিয়েছে। 
‘সেবি’-র তদন্ত শেষ করার মেয়াদ এর আগেও বাড়িয়েছে শীর্ষ আদালত। আরও তিন মাস সময় কেন, সেই ব্যাখ্যা রায়ে পাওয়া যায়নি বলে আইনজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন। রায় ঘোষণার পর আদানি গোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বাভাবিক কারণেই, আদানি গোষ্ঠীর কিনে নেওয়া কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে বাজারে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম খানিকটা বেড়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ঘনিষ্ঠ আদানি গোষ্ঠীর গোলমেলে লেনদেন ঘিরে প্রশ্ন এবং সন্দেহ থামছে না। 
শেয়ার বাজারে ‘শর্ট সেলার’ হিন্ডেনবার্গ সংস্থার রিপোর্টে জানানো হয়েছিল যে আদানি গোষ্ঠীর বেশিরভাগ শেয়ারের দাম ফাঁপানো। প্রায় ৮০ শতাংশ ফাঁপানো হয়েছে শেয়ারের দাম। আদানি গোষ্ঠীর ঋণও বিপুল। যে কোনও সময় শেয়ারের দাম প্ডরায় ৮০ শতাংশ পড়ে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল রিপোর্টে। রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে টানা পড়তে থাকে আদানির বিভিন্ন শেয়ারের দাম। বস্তুত পড়তির হার ৮০ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলেছিল গোষ্ঠীর কয়েকটি সংস্থার শেয়ার। 
সুপ্রিম কোর্ট যদিও বলেছে বাইরের সংবাদ প্রতিবেদন বা কোনও সংস্থার রিপোর্টের ওপর ভরসা করা ঠিক নয়। দেশের নিয়াম প্রতিষ্ঠান ‘সেবি’-র ওপর থেকে আস্থা সরিয়ে নেওয়াও ঠিক হবে না।

Comments :0

Login to leave a comment