SAGARDIGHI RALLY

তৃণমূলের রাজনীতিতে ঘৃণা
উগরে মিছিল সাগরদিঘিতেই

রাজ্য জেলা

SAGARDIGHI RALLY মঙ্গলবার সাগরদিঘিতে মিছিল সিপিআই(এম)’র।

বিক্রি হয়েছেন বিধায়ক। বদলায়নি তৃণমূলের প্রতি সাগরদিঘির মানুষের ঘৃণা। বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের পদত্যাগের দাবিতে সাগরদিঘিতে মিছিল করল সিপিআই(এম)। মিছিল থেকে উঠে এল তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে গ্রামের মানুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান। 

সোমবার তৃণমূলে যোগ দেন সাগরদিঘি থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী বায়রন বিশ্বাস। উপনির্বাচনের মাস তিনেকের মধ্যে দল ভাঙানো হয়েছে। সিপিআই(এম) তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূলের। এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থকে সমর্থন করেছিল বামফ্রন্ট। কেবল তৃণমূল পরাজিত হয়নি উপনির্বাচনে। দুই থেকে তিন নম্বরে নেমে গিয়েছে বিজেপি’ও।  

মঙ্গলবার তৃণমূলের রাজনীতিকে ধিক্কার জানিয়ে সাগরদিঘি সিপিআই(এম) দপ্তর থেকে শুরু হয় মিছিল। বাসস্ট্যান্ড পেড়িয়ে স্টেশনের দিকে এগতে মিছিলে পা মেলান স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে পথচলতি মানুষ। তাঁরা বলেছেন, সাগরদিঘির মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন বাইরন বিশ্বাস। এদিন ব্লক কংগ্রেস দপ্তরে বৈঠক করেন কংগ্রেস কর্মীরাও।

সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, বিজেপি নেতা অমিত শাহের কাছে দর বাড়াতে বিধায়ক কিনছে তৃণমূল। এখন তৃণমূলকে দেখলে লোক ‘চোর চোর’ বলে তাড়া করছে। লুটেরা তৃণমূল এবং বিজেপি’কে পরাজিত করতে পারে এমন শক্তিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিআই(এম)। সাগরদিঘির মানুষ সেই অবস্থানের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। মানুষের রায়কে উলটে দেওয়ার চেষ্টা আরও বাড়বে ক্ষোভ।

জাতীয় কংগ্রেসের প্রচার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জয়রাম রমেশও বলেছেন যে তৃণমূলের ভূমিকায় বিজেপি’কে সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও বলেছেন যে তৃণমূল নেত্রী বরাবর কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম)’কে ভেঙে বিজেপি’র সুবিধা করে দিতে চাইছে। কংগ্রেসের প্রচার বিভাগ জানিয়েছে মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদেরই বেলডাঙায় তৃণমূলের প্রায় আটশো কর্মী ও নেতা তাদের দলে যোগ দিয়েছেন।  

মঙ্গলবার সকালেই বায়রন বিশ্বাসের সামসেরগঞ্জের বাড়ির বাইরে মোতায়েন হয়েছে পুলিশ। সিপিআই(এম) মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘সাগরদিঘির জয় মমতা ব্যানার্জি কোনভাবেই মানতে পারেননি। বিজেপিকে ওরা বিরোধী মনে করে না, বিজেপি তৃণমূলের সহযোগী দল। তাই, বিধানসভায় বিরোধী স্বর থামাতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীকে ভাঙিয়ে দলে নিয়েছে তৃণমূল। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে চল্লিশ দিন বিনা অপরাধে জেলে রেখেছিল। কিন্তু দলে টানতে পারেনি।’’ 

জামির মোল্লা বলেন, ‘‘বিধায়ককে দলে টানতে পারলেও এই ঘটনায় সাগরদিঘির মানুষের কাছে তৃণমূলের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও কমেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের পায়ের নীচে মাটি নেই। বিধায়ক কিনে রাজনীতিতে ভেসে থাকতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।’’

Comments :0

Login to leave a comment