Sarada Chit fund scam

দীর্ঘ ১০ বছর পর বাড়ি ফিরলেন দেবযানী মুখার্জি

রাজ্য

Sarada Chit fund scam


স্বাধীনতার পরে এরাজ্যের বুকে সর্ববৃহৎ আর্থিক কেলেঙ্কারি। সিবিআই’র প্রাথমিক হিসাব ছিল, কেলেঙ্কারির পরিমাণ কমপক্ষে দশ হাজার কোটি টাকা। সেই সারদাকাণ্ডেই রবিবার প্যারোলে জামিন পেলেন সারদা চিট ফান্ড সংস্থার সেকেন্ড ইন কমান্ড দেবযানী মুখার্জি। দীর্ঘ প্রায় দশ বছর পর দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার দেবযানীকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে মহামান্য আদালত।
আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন দেবযানী মুখার্জি। অসুস্থ মাকে দেখতে প্যারোলে বাড়ি যাওয়ার জন্য আবেদন জানান দেবযানীর আইনজীবী। সিবিআই’য়ের বিশেষ আদালতে সেই আবেদন পাঠানো হলে মেলে অনুমতি। আদালতের নির্দেশে মতো দেবযানী মুখার্জিকে ঢাকুরিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।


২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে সারদা চিট ফান্ড সংস্থার প্রতারণা ফাঁস হয়। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ও তৃণমূল ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারপর ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে সারদার আমানতকারী ও এজেন্ট বিক্ষোভ, আন্দোলন শুরু হয়। ততদিনে কলকাতা থেকে চম্পট দিয়েছে সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখার্জি। কেন অধরা দুই প্রতারক, রাইটার্সে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘উত্তরে আছে’। তার পাঁচদিন পরে সেই ‘উত্তর’ থেকে অর্থাৎ কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলার সোনমার্গের স্নো-ল্যান্ড হোটেল থেকে গ্রেপ্তার হয় চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির অন্যতম পান্ডা সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখার্জি।


২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর সিবিআই সারদার চিট ফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে দায়ের মামলার চার্জশিট নয়, সারদার ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস সংস্থার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় চার্জশিট দেয়। তাতে সুদীপ্ত সেনের পাশাপাশি দেবযানী মুখার্জি ও কুণাল ঘোষের নাম ছিল। কুণাল ঘোষ ২০১৬ সালে অন্তর্বতী জামিন ও ২০১৭ সালে এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হন। কেবলমাত্র সারদাকাণ্ডে সুদীপ্ত সেনই এখনও জামিন পাননি।
সুদীপ্ত সেনের প্রতারণার কাবরারে অন্যতম সঙ্গী ছিলেন এই দেবযানী মুখার্জি। সল্টলেকের মিডল্যান্ড পার্কের অফিসেই বসতেন তিনি। বাড়ি ঢাকুরিয়ায়। সারদা রিয়েলিটি মামলাতেও ২০১৫ সালে চার্জশিটে তাকে যুক্ত করা হয়। সারদা চিট ফান্ড সংস্থার ৪০ কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন দেবযানী মুখার্জি। সারদা গ্রুপে মিডিয়া সংস্থার ডিরেক্টর পদেও ছিলেন।


এরাজ্যে শুধু ২০১১ সালের পর থেকে ২০১৩-র শেষ পর্যন্ত প্রায় ১৭০০টি সংস্থা দু’-লক্ষ কোটি টাকার বেশি বাজার থেকে তুলেছে। একের পর এক ধৃত তৃণমূল নেতারা সকলেই জামিন পেয়েছেন সারদাকাণ্ডে। এখন শুধুমাত্র সুদীপ্ত সেনের জামিনের অপেক্ষা।

Comments :0

Login to leave a comment