প্রতীম দে
মানুষকে জোটবদ্ধ করতে হবে। এটা হতাশার সময় নয়, দুর্বলতা কাটানোর সময়। শনিবার কলকাতার মৌলালি যুবকেন্দ্রে এসএফআই’র ডাকে সভায় একথা বলেছেন সংগঠনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী।
লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিত ব্যাখ্যা করে চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘মানুষের কাছে আমাদের কথা কিভাবে পৌঁছানো যায়, তা নিয়ে চর্চা করতে হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষা, কাজ বেহাল। স্বাস্থ্য-বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। আমাদের হাতে লড়াইয়ের রসদ অনেক। মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার বিষয়কে জাতীয়, রাজ্যের বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।’’
শনিবার কলকাতার মৌলালি যুবকেন্দ্রে ‘ছাত্রসংগ্রাম’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে চক্রবর্তীর ব্যাখ্যা, ‘‘এই নির্বাচনের ফলাফলে তাতে সব থেকে বেশি হতাশ বিজেপি। ‘৪০০ পার’ স্লোগান মুখ থুবড়ে পড়েছে। রাম মন্দির তাদের সাহায্য করবে ভেবেছিল, হয়নি। তারা হতাশ হয়েছে, যারা মানুষকে প্রজা হিসাবে দেখেছে। যেমন এডিএমকে, বিজেডি, টিআরএস’র মতো দল।’’
রাজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এই নির্বাচনে আমাদের হতাশ করেনি। বিজেপি-কে আটকানো গিয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘বামপন্থীরা ২০১৮ সালে প্রথম বলেছিল বিজেপি বিরোধীদের একসঙ্গে আসতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ গড়ে উঠেছে। এই নির্বাচনে রুটি-রুজির লড়াই জিতেছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে তৃণমূল জেতেনি। বিজেপি-কে হারাতে চেয়ে মানুষ আমাদের ভরসা করতে না পেরে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। যাঁরা বিজেপি-কে ভরসা করতে চাননি তাঁরা তৃণমূলকে দিয়েছেন। আবার তৃণমূলের ওপরে ভরসা না থাকলে ভোট গিয়েছে বিজেপি-তে। আমাদের এখন কাজ মানুষের মন থেকে এই ধারণা বদলানোর। তার জন্য আমাদের নিজেদের ঘাটতি চিহ্নিত করতে হবে।’’
দেশের পরিস্থিতি পরসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘মোদী পরাজিত হননি, তবে ধাক্কা খেয়েছেন। কারণ দেশে যখন বেশিরভাগ মানুষের আয় কমছে তখন কয়েকটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ক্ষমতা বাড়ছে।’’
Comments :0