মঙ্গলবার এসআইআর’র বিরোধিতায় পথে নামছে তৃণমূল। এমজি রোড থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত মিছিলে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি।
মঙ্গলবার থেকেই বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কাজ শুরু করবেন বিএলও’রা। পৌঁছে দেবেন এনুমারেশন ফর্ম। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই বিএলও-দের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার দলীয় কর্মীদের নিয়ে ভার্চুয়াল সভা থেকে অভিষেক নির্দেশ দিয়েছেন যে দলের বুথ এজেন্টদের বিএলও-দের সঙ্গে সব সময় থাকতে হবে। এর পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে ক্যাম্প করবে তৃণমূল।
শনিবার নির্বাচন কমিশনের ডাকা সভায় নিরাপত্তার অভাব নিয়ে সরব হয়েছেন বিএলও-রা। বহু শিক্ষককে বিএলও হিসেবে নিয়োগ করেছে রাজ্য। কমিশন তাঁদের যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে স্কুলে ক্লাস নেওয়া অসম্ভব। প্রতি বুথে প্রতি বাড়িতে তিনবার করে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এদিন বৈঠকে এমন নির্দেশ এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় তীব্র ক্ষোভ জানান বিএলও-রা।
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তৃণমূলের এসআইআর বিরোধিতার প্রসঙ্গ তুলে বার বার শাসক দলকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে এসআইআর-র নাম করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিজেপি এবং তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ার নেই নাগরিকত্ব নির্ধারণের। কিন্তু ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নাগরিকত্বের বিষয়টি টেনে আনা হচ্ছে। সিপিআই(এম) তার বিরোধী। কিন্তু তৃণমূল বিরোধিতা করছে
ভুয়ো এবং মৃতদের নাম রেখে দেওয়ার জন্য। যাতে সেই নামগুলিকে ব্যবহার করে তারা নির্বাচনে কারচুপি করা যায়।
উল্লেখ্য, রাজ্যে এসআইআর করার প্রশ্নে তৃণমূল মুখে বিরোধিতা করলেও রাজ্য প্রশাসন গোড়া থেকে কমিশনের নির্দেশ মেনে বিভিন্ন স্তরে ব্যবস্থা নিয়ে চলেছে।
গত সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে সেলিম বলেন, ‘২০০২ সালে ইআর বা ‘ইনটেনসিভ রিভিশন’ হওয়ার পর ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচন হয়। ইউপিএ-১ সরকারের আমলে মমতা এবং বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি ভোটার তালিকায় অনুপ্রবেশকারীদের নাম থাকার অভিযোগ তুলে নিয়ে সংসদে সরব হন। দু’জন আলাদা আলাদা দিনে ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হন। তখনই মমতা কাগজ ছুঁড়েছিল স্পিকারের চোয়ারের দিকে। সেই সময় যে তালিকা নিয়ে মমতা এবং বিজেপি প্রশ্ন তুলেছিল আজ সেই তালিকা ধরেই এসআইআর-র কাজ হবে বলে কমিশন জানিয়েছে।’
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দাবি নির্ভুল ভোটার তালিকা। অনেক লড়াইয়ের ফল এই সর্বজনীন ভোটাধিকার। কোন ভাবে মানুষের ভোটাধিকারকে সঙ্কুচিত করা যাবে না। কিন্তু আমরা দেখছি কখনও কমিশনকে ব্যবহার করে, কখনও গুন্ডা ব্যবহার করে ভোটাধিকারের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। গরিব মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘রাজ্য জুড়ে সিপিআই(এম)’র যারা বিএলএ রয়েছেন তারা সতর্ক থাকবেন যাতে কোন ভাবে বৈধ ভোটারের নাম বাদ না যায় তালিকা থেকে।’
SIR TMC Rally
বিএলও-দের বাড়ি ঘোরা শুরুর দিনে মিছিলের ডাক তৃণমূলের
×
Comments :0