Trinamool Threatens

‘খুব মার মারব’, পাণ্ডুয়ায় পার্টিনেতাকে হুমকি তৃণমূলের

জেলা

Trinamool Threatens পান্ডুয়া জুরে গ্রামবাসীদের পোস্টারিং। ছবি অভীক ঘোষ

পঞ্চায়েত সামনেই। ভোট এগিয়ে আসতেই বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের হুমকি। হুগলির পাণ্ডুয়ার কোটলপুকুর এলাকায় একটি পথসভায় তৃণমূলের পাণ্ডুয়া ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ সরাসরি হুমকি দিয়েছেন সিপিআই(এম) নেতাদের নাম করে। পাণ্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক এবং সিপিআই(এম) নেতা আমজাদ হোসেনকে মারার হুমকি দিয়েছেন প্রকাশ্য সভায়।


হোসেনকে লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার একটি সভায় সঞ্জয় ঘোষের হুমকি, ‘‘পাণ্ডুয়া ব্লক থেকে উন্নয়নের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলা যাবে না। যেদিন পাণ্ডুয়ায় পাবো সেদিন ওকে খুব মার মারব।’’ 
ওই দিন পান্ডুয়ার কোটাল পুকুর এলাকায় পথসভা করে তৃণমূল। সেই পথসভার একটি ভিডিও এর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিও’তে শোনা যাচ্ছে যে পথসভায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলছেন, ‘‘পান্ডুয়ায় যেখানে পাব ওখানে ওকে খুব মার মারবো। বলছে গাড়ি কোথায় পাই? তোর বাপ দিয়ে গেছে আমার গাড়িটা। আমজাদের বাপ দিয়ে গেছে গাড়িটা।’’ 

 


হুমকিভাষণে প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার বিকেলে কোটাল পুকুর এলাকায় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে পোস্টারিং করা হয়। পোস্টারে লেখা হয়, ‘পান্ডুয়ার মানুষের প্রিয় প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেনের নামে তৃণমূলের কুরুচিকর ভাষণকে জানাই ধিক্কার।’ লেখা হয়েছে, ‘ছিঃ টিএমসি ছিঃ’ 
আমজাদ হোসেন বলেন, ‘‘৬ ডিসেম্বর কোটালপুকুর এলাকায় কালা দিবস উপলক্ষে পথসভা করে সিপিআই(এম)। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়।’’ 

 

 

তিনি জানান, স্থানীয় এক বিঘা জায়গা রেকর্ড রয়েছে শালি জমি হিসেবে। এই জমি পুকরের, সবাই জানেন। সেই পুকুর ভরাট করতে ২০২০ থেকে নেমেছে প্রোমোটাররা। 


হোসেন বলেছেন, ‘‘পান্ডুয়ায় সেই সময় বিধায়ক সিপিআই(এম)’র। সেই কাজ বিভিন্ন জায়গায় জানিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে আমরা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের দুর্নীতির নমুনা দেই। তাঁরা জেলে গেছেন, উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। আমরা বলি যে দলের ওপর থেকে পঞ্চায়েত পর্যন্ত দুর্নীতিতে ভরা তৃণমূল। সে কথা বলায় তৃণমূলের গায়ে জ্বালা ধরেছে।’’ 

 


তৃণমূলের সঞ্জয় ঘোষ যদিও বেপরোয়া মনোভাবই বজায় রেখেছেন। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম বলে কিছু আছে? একটা সিটও পেয়েছে। জননেত্রী মমতা ব্যানার্জির নামে, অভিষেককে গরু চোর থেকে যে যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছে এরপর আইনি ব্যবস্থা নেব। এফআইআর করব।’’ তিনি বলেন, যে ভাষায় মন্তব্য করেছে আমি পান্ডুয়া থাকলে পরে তার মাইক কেড়ে নিতাম মিটিং মিছিল করতে দিতাম না। 

 


পালটা হোসেন বলেছেন যে তাঁকে নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণও চালাচ্ছে তৃণমূল। হোসেন বলেন, যদি হিম্মত থাকে কেলেঙ্কারির দায়ে আমাকে জেলে ভরে দিক। আমরা বলেছি চোর ধরো জেলে ভরো। তৃণমূলের গায়ে লাগছে কেন?

 

Comments :0

Login to leave a comment