প্রধানমন্ত্রী চাইলে হিংসা হবে না ভারতে। বুক ঠুকে আধিপত্যবাদী হুঙ্কার হবে না। নেতা যেভাবে চিন্তা করবেন, জনতাকে যেভাবে বার্তা দেবেন, তার প্রভাব পড়বে জনমনে। ইউরোপ সফররত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী হিংসার জন্য এই ভাষাতেই দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
আপাতত প্যারিসে রয়েছে রাহুল। শিক্ষক এবং ছাত্রদের একাংশের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। দিল্লিতে চলছে জি২০ গোষ্ঠীর বৈঠক। ভারতের মতো ফ্রান্সও এই গোষ্ঠীর সদস্য। মণিপুর, হরিয়ানার মতো একের পর এক জায়গায় হিংসা এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় রাহুলকে। কংগ্রেসের এই নেতার ব্যাখ্যা, ‘‘হিন্দুত্ববাদের নাম করে যা হচ্ছে তার সঙ্গে হিন্দু ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। সরকারে আসীন দল যে কোনও কৌশলে ক্ষমতা ধরে রাখতে আগ্রহী। তার জন্যই বিদ্বেষ এবং বিভাজনের কৌশল নেওয়া হচ্ছে।’’
বিরোধী মঞ্চে উদ্দেশ্য জানিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘‘ভারতচেতনার ওপর এই আঘাত বন্ধ করতে চাই আমরা। দেশকে এই বিপর্যয়ের থেকে বের করে আনা সম্ভব।’’ ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’ বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘সংবিধানে দু’টি নামই রয়েছে। বিরোধী মঞ্চের নাম ‘ইন্ডিয়া’ হওয়ার পর থেকে বিজেপি অদ্ভূত আচরণ করছে। যারা নাম বদলে দিতে চায় তারা আসলে দেশেরইতিহাসকে অস্বীকার করে।
সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি দলিত, আদিবাসীদের ওপর নিপীড়ন প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয় রাহুল গান্ধীকে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপি এবং আরএসএস চাইছে দলিত, আদিবাসী বা সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ বন্ধ করতে। দলিত বা উচ্চবর্ণ, কারও ওপরেই আঘাত নামিয়ে আনা হোক এমন ভারত আমরা চাই না।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘হিন্দুধর্মের কোনও বই বা কোনও জ্ঞানী কখনও বলেন না যে দুর্বল অংশের ওপর আঘাত করতে হবে। এরা আদৌ হিন্দু জাতীয়তাবাদী নয়। হিন্দুধর্মের সঙ্গে এদের কোনও যোগাযোগ নেই। এরা ক্ষমতালোভী।’’
Comments :0