প্রবীর দাস
বিঘার পর বিঘা জমি কার্যত দখল করে মাছ চাষের অভিযোগে সন্দেশখালির বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন আদিবাসীরা। তৃণমূল নেতা ‘পলাতক’ শেখ শাহজাহান এবং তার দুই ছায়াসঙ্গী, সন্দেশখালি ২ ব্লকের জেলা পরিষদ সদস্য, শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে।
মাছ ব্যবসায়ীরা টাকা ‘মেরে দেওয়ার’ অভিযোগ তুলছেন শেখ শাহজাহান এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গদের বিরুদ্ধে।
গত বুধবরাই সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা এবং জেলা পরিষদের সদস্য শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এবার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন মাছ ব্যবসায়ীরা। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে এই শাহজাহানকেই ‘বেপাত্তা’ দেখাচ্ছে ইডি। শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশির সময় মার খেতে হয় কেন্দ্রের ইডি’র আধিকারিকদের।
শেখ শাহাজাহান রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাগদা মাছের এজেন্টন্দের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই টাকা অবিলম্বে ফেরতের দাবি তুলে মাছের কোম্পানির সামনে বিক্ষোভ দেখান এজেন্টরা।
কলকাতা-বাসন্তী হাইওয়ের হাড়োয়ার ঘোষপুরের কাছে একটি বাগদা মাছের কোম্পানিতে মাছ সরবরাহ করতেন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলার বাগদা মাছের এজেন্টরা। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি এই মাছের কোম্পানিতে এজেন্ট হিসাবে মাছ সরবরাহ করত শাহাজাহানও।
অভিযোগ, গত ২০১৮ সালে আগস্ট মাস নাগাদ ওই কোম্পানি মাছের এজেন্টদের প্রায় দশ কোটি টাকা আটকে রাখে। সেই টাকা দিতে না পারায় ওই মাছের কোম্পানিতে তালা ঝুলিয়ে দেয় সন্দেশখালির এই তৃণমূল নেতা। তারপর সমস্ত এজেন্টদের নিয়ে কোম্পানির কর্মকর্তারা বসে সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিতে মজুত করে রাখা সমস্ত বাগদা ও গলদা চিংড়ি বিক্রি করে এজেন্টদের টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কোম্পানির মাছের দখল নিয়ে নেয় শেখ শাহাজাহান।
অভিযোগ, শাহজাহান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে মাছ অন্য সংস্থায় বিক্রি করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের এজেন্টদের টাকা দিয়ে দেবেন। কিন্তু বাকি এজেন্টরা টাকা পাননি কিন্তু তিনি মাছ বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছে, এমনটাই দাবি এজেন্টদের।
Comments :0