মণিরুল হক - উলুবেড়িয়া
তৃণমূলের মদতে বিজেপি-আরএসএস বাহিনী ধর্মীয় উস্কানির চেষ্টা চালিয়েছিল রামনবমীর দিন। ঠেকিয়েছিলেন আমজনতা। জনগনের ঐক্য শক্তিশালী করার ডাক দিয়ে রবিবার উলুবেড়িয়া শহরে মিছিল করল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস।
মিছিলে ছিলেন উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আজহার মল্লিক। ছিলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, হাওড়া জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক দিলীপ ঘোষ, সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য পরেশ পাল, সিপিআই(এম) নেতা সাবিরউদ্দিন মোল্লা, গৌতম পুরকাইত, কংগ্রেস নেতা হাপিজুর রহমান প্রমুখ। মিছিলটি উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে শুরু হয়ে বাজারপাড়া, নোনা, গরুহাটা, সিজবেড়িয়া, উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসকের অফিস হয়ে উলুবেড়িয়া লকগেটে শেষ হয়। মিছিলে বহু মানুষ পা মেলান।
মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ ও আজহার মল্লিক। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রাম নবমীকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বিভাজনের কাজ বিজেপি ও তৃণমূল খুব পরিকল্পিতভাবে করার চেষ্টা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী রাম নবমীর দিনে দাঙ্গার জন্য উসকানি দিয়েছিলেন। মমতা বলেছিলেন, আমাদের এখানে দাঙ্গা হবে। কিন্তু দাঙ্গা আটকানোর জন্য কি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জানাননি। জ্যোতি বসু বলেছিলেন, সরকার যদি না চায়, দাঙ্গা হতে পারে না। ধর্মের সাথে রাজনীতি জড়ানো উচিৎ নয়। রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে পারেনা। সেই জন্য আমরা এই মিছিল বের করেছি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে জীবন-জীবিকার প্রশ্ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ দেশের সংবিধানকে রক্ষা করা।’’
রাম নবমীর দিন তাণ্ডব হয়েছিল উলুবেড়িয়ায়। তৃণমূলের সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে সকাল থেকেই যানবাহন চলাচলে নো-এন্ট্রি করেছিল প্রশাসন। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের উপস্থিতিতে মুসলিম প্রধান এলাকা বাজারপাড়ার একটি মসজিদের সামনে প্রায় ২ঘন্টা ধরে চলে উচ্ছৃঙ্খলতা। উলুবেড়িয়ার প্রায় ৪০টি হাসপাতাল ও নার্সিং হোম এই এলাকায়। সাধারণ মানুষ ও গুরুতর অসুস্থ রুগীদের কথা চিন্তা না করে তারস্বরে বাজানো হয় ডিজে বক্স। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল প্রশাসন। রামনবমীর মিছিলে ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও উলুবেড়িয়ার বিজেপি প্রার্থী অরুণ উদয় পাল চৌধুরী। সেদিন বিজেপি-আরএসএস বাহিনী সফল হয়নি উলুবেড়িয়া শহরের হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে উভয় ধর্মের সাধারণ মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টায়।
Comments :0