সিআইটিইউ’র ডাকে দিনভর অবরোধ আন্দোলনে শামিল থাকলেন অ্যাপ ক্যাব চালকরা।
বৃহস্পতিবার, সিআইটিইউ কলকাতা বাইক ট্যাক্সি অ্যাপ ক্যাব অপারেটরস অ্যান্ড ড্রাইভার্স ইউনিয়নের ডাকে বৃহস্পতিবার সকাল ছ’টা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। ভাড়া বৃদ্ধি, পুলিশি হয়রানি, চালকদের প্রতি অ্যাপ ক্যাব কোম্পানিগুলোর অমানবিক আচরণ বিরুদ্ধে তাঁরা পথে নামেন।
এদিন মৌলালি রামলীলা ময়দান থেকে ধর্মতলার ডরিনা ক্রসিং পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।
সংগঠনের নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানান, "আইন অনুযায়ী প্রতি বছর অ্যাপ ক্যাবগুলির ভাড়া কাঠামো পুনর্গঠন করা উচিত। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে রাজ্য সরকার ভাড়া সংক্রান্ত কোনো সার্কুলার বের করেনি। ২০১৮’র পর থেকে তেলের দাম হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।"
ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেছেন, ‘‘আমরা আরও দাবি করছি সাধারণ গাড়িগুলিকে কমার্শিয়াল গাড়িতে পরিবর্তন করতে দিতে হবে। তার জন্য নম্বর প্লেট পরিবর্তন করতে হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার ঋণ নিয়ে নামানো গাড়িগুলিকে সেই পরিবর্তন করতে দিচ্ছে না। সব আরটিএ-তে গিয়ে ড্রাইভাররা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তা বন্ধ করতে হবে।"
তিনি আরও জানান, "কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় সিএনজি পাম্প নেই বললেই চলে। সিএনজি ভরানোর জন্য ৬ ঘন্টা ৭ ঘন্টা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে ড্রাইভারদের। অবিলম্বে সরকারকে কলকাতা শহরে বিভিন্ন জায়গায় সিএনজি পাম্প চালু করতে হবে।"
সংগঠনের দাবি, নন-এসি গাড়ির ক্ষেত্রে কিলোমিটার প্রতি ২৫ টাকা ও এসি গাড়ির ক্ষেত্রে কিলোমিটার প্রতি ৩০ টাকা ভাড়া বেঁধে দিতে হবে সরকারকে। এছাড়াও বাইক ট্যাক্সির ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ১২ টাকার ন্যূনতম ভাড়া চালু করতে হবে।’’
ওলা, উবের, ইনড্রাইভ’র মতো বৃহৎ পুঁজির কোম্পানিরা শুধুমাত্র অ্যাপ বাজারে চালু করে এখান থেকে মুনাফা অর্জন করছে। কিন্তু গাড়ি লোন করে কিনতে হচ্ছে চালকদের। সেই চালকদের সঙ্গেই বঞ্চনা করছে এই কোম্পানিগুলি। সরকারের মধ্যে বিন্দুমাত্র কোনও অংশগ্রহণ নেই। ড্রাইভারদের বক্তব্য, সরাসরি কাস্টমারদের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হয় আমাদেরই। কেন বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, কেন এসি চালানো হবে না- এমন একাধিক প্রশ্ন উত্তর দিতে দিতে আমরা ক্লান্ত। ভাড়া নির্ণয় থেকে শুরু করে কোন সময় কত টাকা ভাড়া হবে তা সম্পূর্ণ ঠিক করে কোম্পানি। যা ভাড়া দেখানো হয় তার থেকে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ টাকা কেটে নেয় কোম্পানিগুলি। দিন শেষে ড্রাইভারদের হাতে থাকে সামান্যই।
বহুজাতিক অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় না সরকারি স্তর থেকে। সংস্থাগুলি চালকদের থেকে মোটা মুনাফা আদায় করে কোনও আলোচনা ছাড়াই। সিআইটিইউ এই চালকদের পক্ষে টানা লড়াই জারি রেখেছে।
CITU OLA UBER
বহুজাতিকের শোষণ, সরকার অন্ধ, ফের জোরালো আন্দোলনে অ্যাপ-ক্যাব চালকরা

×
Comments :0