Uttarkashi tunnel collapse

সুড়ঙ্গে বন্দি শ্রমিকদের উদ্ধার কবে, অজানা ধসের ৩ দিন পরও

জাতীয়

ধসে আটকে থাকা সুড়ঙ্গের ৩০ কিলোমটার দূরের হেলিপ্যাডে নেমেছে নতুন যন্ত্র। ৭০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে এই সুড়ঙ্গেই আটকে রয়েছেন ৪০ শ্রমিক। বুধবার সকালেই ভেস্তে গিয়েছে আগের পরিকল্পনা। পাইপ ঢোকানোর ব্যবস্থা করা যায়নি। উদ্ধারকাজে দেরি হওয়ায় ধৈর্য হারাচ্ছেন শ্রমিকদের পরিজনরা।
এদিন সকালে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ইস্পাত পাইপ ঢোকানোর জন্য ড্রিলিং মেশিনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করতে কয়েক ঘন্টা ব্যয় করেন।  মঙ্গলবার রাতে নতুন করে ভূমিধসের ফলে তারা মেশিনটি ভেঙে ফেলতে এবং প্ল্যাটফর্মে আবার কাজ শুরু করতে বাধ্য হন। ধসের ফলে দুই উদ্ধারকর্মী আহত হয়েছেন, যাদের ঘটনাস্থলে স্থাপিত অস্থায়ী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তারপর দিল্লি থেকে নতুন ভারী ড্রিলিং মেশিন উড়িয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। প্রশ্ন উঠছে, এমন গুরুতর পরিস্থিতিতে তিনদিন পার করার পরও বিকল্প তৈরি রাখা যায়নি কেন। নতুন ব্যবস্থার জন্য নষ্ট হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েক ঘন্টা। 
গত রবিবার ভোরে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর এই সুড়ঙ্গে ধস নামে। চারধাম প্রকল্পে এই সুড়ঙ্গে কাজ চলছিল সিল্কিওয়ারা ও দন্দেলগাঁওকে সংযুক্ত করার জন্য। 
শ্রমিকরা অবিলম্বে তাদের সহকর্মীদের বের করার দাবিতে স্লোগান দেন, "আমাদের সহকর্মীদের বের করো..."। 
উদ্ধারের প্রথম পরিকল্পনা অনুযায়ী ধস নামা অংশের ভেতর দিয়ে পরপর ঢোকানো হবে ৯০০ ও ৮০০ মিলিমিটার ব্যাসের দু’টি পাইপ। ইস্পাতের এই পাইপের মধ্যে দিয়ে বের করে আনা হবে শ্রমিকদের। কিন্তু দেখা যায় আগের ড্রিলিং মেশিন অত্যন্ত ধীরে কাজ করছে। যান্ত্রিক গোলযোগও দেখা দিতে থাকে। 
বিকল্প ড্রিলিং মেশিন আনা হয়েছে বায়ুসেনা হারকিউলিস বিমানে। উত্তরকাশীর পুলিশ সুপার অর্পণ যদুবংশী দুপুরে জানান যে হেলিপ্যাড থেকে সুড়ঙ্গের মুখে পৌঁছাতে বিকেল হবে। ড্রিলিং শুরু হবে তার ৪-৫ ঘন্টা বাদে। মেশিনটিকে সঠিক জায়গায় নিয়ে এসে শুরু করতে হবে ড্রিলিং।’’
চারধাম প্রকল্পে জাতীয় সড়ক তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এনএইচআইডিসিএল’র ডিরেক্টর অংশু খালকো বলেছেন, ‘‘ঘন্টায় ৪-৫ মিটার আবর্জনা সরাতে পারে এই মেশিনটি। ৫০ মিটার পুরু কংক্রিট এবং মাটির স্তূপ সরাতে প্রায় ১০ ঘন্টা লাগবে।’’
ঠিক কখন বেরিয়ে আসতে পারবেন শ্রমিকরা। পুরো তিনদিন পার করেও এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি খালকো। তবে তাঁর দাবি, যোগাযোগ হচ্ছে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে। পাঠানো হচ্ছে পানীয় জল, খাদ্য। 
ধসে বন্দি শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৩, ঝাড়খণ্ডের ১৫, উত্তর প্রদেশের ৮, ওডিশার ৫। রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের ২ শ্রমিকও।

 

Comments :0

Login to leave a comment