বন্যার আশঙ্কা রাজ্যের সর্বত্র। উত্তরে জলপাউগুড়িতে তিস্তার পারে মাইকিং করে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। আবার হাওয়ার ভেঙে পড়েছে সাঁকো। বীরভূমে লাভপুরও বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। ডিভিসি’র জল ছাড়া নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে রাজ্য। রাজ্যের বিভিন্ন অংশের বহু এলাকা প্লাবিত।
ডিভিসির ছাড়া জলের তোড়ে মুণ্ডেশ্বরী নদী ও রূপনারায়ন নদের উপর ভাঙল চারটি বাঁশের সেতু। ফলে মূল ভূখণ্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল হাওড়ার আমতা-২ ব্লকের দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা।
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন যে তিনি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিভিসি জানিয়েছে বৃষ্টিপাত কমার সঙ্গে সঙ্গে জল ছাড়ার পরিমানও কমবে।
শনিবার রাতে মুন্ডেশ্বরী নদীর উপরে থাকা আমতা-২ ব্লকের কুলিয়া ঘাট, গায়েনপাড়া ঘাট, আজানগাছি টাকীপাড়া ঘাট এবং রূপনারায়ণ নদের উপরে থাকা পানশিউলি ঘাটের বাঁশের সেতু ভেঙে যায়। বাঁশের সেতুগুলি ভেঙে যাওয়ার ফলে দ্বীপাঞ্চলে থাকা প্রায় ৪০ হাজার সাধারণ মানুষ ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে।
অন্যদিকে, ডিভিসির ছাড়া জলের ফলে রূপনারায়ণ, মুণ্ডেশ্বরী ও দামোদরের নদের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। হলে হাওড়া জেলার আমতা ২ নম্বর ও উদয়নারায়নপুরে ব্লকে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিন বেলায় আমতা ২ ব্লকের পরিস্থিতি দেখতে আসেন হাওড়ার জেলাশাসক পি দীপাপ্রিয়া, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক মানস কুমার মন্ডল।
বন্যা সতর্কতার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ভাটরা দীপঞ্চলের মানুষদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য নৌকার ব্যবস্থা করা হলেও জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দীপাঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা হচ্ছে।
বীরভূমের লাভপুর ব্লকের কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হলো ঠিবা অঞ্চলের ব্যাপক এলাকা। ওই অঞ্চলের ঠিবা গ্রামের তালতলার কাছে রবিবার ভোরে ভাঙলো কুয়ে নদীর বাঁধ। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন কীর্ণাহার থানার পুলিশ আধিকারিকরা। রাস্তায় ব্যারিকেড বেঁধে দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
FLOOD BENGAL
বহু এলাকা প্লাবিত রাজ্যে, ভাঙছে সাঁকো
×
Comments :0