শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার কসবার অ্যাক্রোপোলিস মলের ফুড কোর্টে আগুন লাগে। সেই অগ্নিকান্ডের ফলে সামনে এসেছে মল কর্তৃপক্ষের একাধিক গাফিলতির খতিয়ান। সামনে এসেছে, মলটিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক এমারজেন্সি এক্সিট না থাকার ঘটনাও। প্রত্যক্ষদর্শীদের ক্ষোভ, ফুড কোর্টের বদলে উপরের কোনও তলায় আগুন লাগলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত।
এদিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানিয়েছেন, ‘‘অ্যাক্রোপোলিস মলে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ আগুন লাগে। আমরা তখন ষোলো তলায় কাজ করছিলাম। ফলে আগুন লাগার প্রাথমিক খবর আমরা পাইনি। কিছুক্ষণ পরে ফায়ার আলার্ম বাজতে শুরু করে, তখন আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এই সময় আমাদের দুইজন সহকর্মী, যাঁরা কিছুক্ষণ আগে নীচে নেমেছিলেন, তাঁরা আমাদের ফোন করে বলতে থাকেন, নীচে নেমে এসো, প্রচন্ড ধোঁয়া বেরোচ্ছে বিল্ডিং থেকে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এর মধ্যে কোনও লিফট কাজ করছিল না। চারিদিক ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই আমাদের সিনিয়র ‘অ্যাডমিন’রা এসে বলেন, বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছে, আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, কিন্তু সবাইকে নীচে নেমে যেতে হবে। সবাই মিলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে শুরু করি। বয়ষ্করা খুব সমস্যায় পড়েন।’’
ওই কর্মচারীর অভিযোগ, ‘‘ফায়ার এক্সিটের কাছে আবর্জনায় ভর্তি ছিল। গোটা জায়গাটাও খুব সরু। তাড়াহুড়োয় অত মানুষ একসঙ্গে অত সরু জায়গা দিয়ে নামতে গেলে সমস্যা তৈরি হয়। অনেকে এতে আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমরা কোনওক্রমে তাঁদের আশ্বস্ত করি।’’
তাঁর ক্ষোভ, ‘‘২০-২১ তলা বাড়িতে একটা মাত্র এমারজেন্সি এক্সিট। খুব সহজেই অনুমান করা যায়, সেই সময় কি অবস্থার মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম। এই অব্যাবস্থার ফলে অনেক কর্মচারী প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। ধরুণ, যদি উপরের দিকে কোনও তলায় আগুন লাগত, তখন কি হত? এই অব্যাবস্থা ঠিক না করলে আগামী দিনে বড় কোনও বিপদ ঘটে যেতেই পারে।’’
Comments :0