২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একাধিক আসনে জয়ী হয়েছেন শ্রমিক-কৃষক সহ আর্থ সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের মানুষের দাবি নিয়ে লড়াই করা রাজনৈতিক কর্মীরা। সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে উত্তর প্রদেশের নাগিনা থেকে জয়ী চন্দ্রশেখর আজাদ রাবণ। প্রসঙ্গত, চন্দ্রশেখর আজাদের দল আজাদ সমাজ পার্টি এনডিএ কিংবা ‘ইন্ডিয়া’, কোনও মঞ্চের অংশ নয়। তারপরেও সামাজিক ও গণ আন্দোলনের পুঁজিতে ভর করে লোকসভায় প্রবেশের ছাড়পত্র আদায় করে নিয়েছেন চন্দ্রশেখর। প্রায় দেড় লক্ষ ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন তিনি।
২০১৫ সালে দলিত সমাজের দাবিকে সামনে রেখে ভীম আর্মি গঠন করেন চন্দ্রশেখর। একাধিক আন্দোলনে তাঁর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এনএসএ বা জাতীয় সুরক্ষা আইনের মত দমনমূলক আইনেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপরেও নিজের পথে অনড় থেকে দলিত সমাজের স্বাভাবিক প্রতিনিধি হয়ে ওঠেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে জয় সেই প্রক্রিয়াকেই প্রাতিষ্ঠানিক শিলমোহর দিল।
মাটিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করে দিল্লির সংসদ ভবনে পৌঁছনো অপর মুখ হলেন রাজস্থানের সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক অমরা রাম। রাজস্থানের শেখাওয়াতি অঞ্চলের জনপ্রিয় কৃষক নেতা অমরা রাম একাধিক বার রাজস্থান বিধানসভার সদস্যও ছিলেন। সংসদীয় রাজনীতিতে একাধিকবার হারলেও, কোনও গণ আন্দোলনে না হারার রেকর্ড রয়েছে তাঁর নামের পাশে। শুরু করা প্রতিটি আন্দোলনকে শেষ করে, দাবি আদায় করে ছেড়েছেন রাজস্থানের সিকর কেন্দ্র থেকে জয়ী সিপিআই(এম) প্রার্থী অমরা রাম।
অমরা রামের নেতৃত্বে কৃষির জন্য বিদ্যুৎ-এর দাবিতে আন্দোলন, কৃষি বীমা কোম্পানিগুলির লুটের বিরুদ্ধে আন্দোলন, পেঁয়াজ চাষিদের দুর্দশা দূর করার আন্দোলন লড়ে দাবি আদায় করতে সফল হয়েছিলেন অমরা রাম। ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাজস্থান-হরিয়ানা সীমান্তে টানা ১ বছর ধরে অবস্থান চালিয়েছিলেন তিনি।
এর পাশাপাশি বিহারের কারাকাট আসন থেকে জয়ী হয়েছেন সিপিআই(এম-এল) লিবারেশন প্রার্থী রাজারাম সিং। তিনিও বিহার এবং ঝাড়খন্ড অঞ্চলে কৃষি আন্দোলন করে লাইমলাইটে এসেছেন। রাজারাম সিংয়ের জয়ের ফলে বিহারের গরীব কৃষক ও মজদুরের আওয়াজ দিল্লি পৌঁছবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
Comments :0