আম্বেদকর নিয়ে বিতর্কের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপি এবং কংগ্রেস সাংসদরা।
আম্বেদকরকে নিয়ে করা অমিত শাহের মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। পাল্টা বিক্ষোভ দেখা ছিলেন বিজেপি সাংসদরা।
দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয় দুই দলের সাংসদদের মধ্যে। বিজেপির অভিযোগ রাহুল গান্ধী প্রথম ধাক্কা দিয়েছেন। তার ধাক্কায় মাথা ফেটেছে বিজেপি সংসদ প্রতাপ সিং সারঙ্গীর। কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপি সাংসদরা রাহুলকে সংসদে ঢোকার সময় আটকায়।
মঙ্গলবার অমিত শাহ রাজ্যসভায় সংবিধানের ওপর আলোচনা চলার সময় বলতে উঠে বলেন, ‘‘এখন একটা ফ্যাশান হয়ে গিয়েছে কথায় কথায় আম্বেদকার, আম্বেদকার বলা। এতো বার যদি ঈশ্বরের নাম নিতেন তাহলে স্বর্গ লাভ হতো।’‘ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর ক্ষোভে ফেটে পরেন বিরোধীরা। তাদের দাবি ভারতীয় সংবিধানের প্রনেতাকে অপমান করেছেন মোদী মন্ত্রিসভার এই সদস্য, পাল্টা বিজেপির দাবি শস্তার রাজনীতি করতে এই ধরনের ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছাড়ছে বিরোধীরা।
শাহ বলেছেন, তপশিলি জাতি এবং উপ-জাতিদের জন্য যেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তাতে একমত ছিলেন না আম্বেদকার। ঐক্যমত না হওয়ার কারণে নেহেরু মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
শাহকে নিশানা করে রাহুল বলেছেন, ‘‘যারা মনুস্মৃতিকে মান্যতা দেয় তাদের কাছে আম্বেদকার বিপদ হবেই।’’ উল্লেখ্য মনুস্মৃতিতে পিছিয়ে পড়া জাতি এবং উপ-জাতির মানুষদের প্রতি বৈষম্যের কথা বলা আছে। স্বাধীন ভারতে এই ধরনের কোন ভাব ধারা যাতে না থাকে তার জন্য সংবিধানের মাধ্যমে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন সংবিধান প্রনেতারা। যাদের মধ্যে অন্যতম বি আর আম্বেদকার।
উল্লেখ্য শাহকে আড়াল করতে মাঠে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। এক্সহ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘‘কংগ্রেস যদি ভেবে থাকে যে তাদের এই মিথ্যা প্রচার তাদের অন্যায় এবং আম্বেদকারের প্রতি অশ্রদ্ধা ঢাকা দেবে তাহলে তারা ভুল ভাবছে। গোটা দেশ দেখেছে কি ভাবে একটি দল একটি পরিবার দেশের তপশিলি জাতি এবং উপ-জাতিদের কোনঠাসা করে রেখেছিল।’’
Comments :0