প্রবীর দাস
‘‘গোটা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে সবাই এক হয়েছে। আরএসএস বিজেপি দেশটাকে শেষ করতে চাইছে। রাজ্যে মমতাকে তৈরি করেছে আরএসএস। তৃণমূলকে দিয়ে রাজ্যের গণতন্ত্র শেষ করছে আরএসএস। তাই তৃণমূল, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। বিজেপি, তৃণমূল হকের কথা, রুটি, রুজির কথা বলে না।’’
বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআই(এম) প্রার্থী নিরাপদ সরদারের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে একথা বলেন পার্টি রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বৃহস্পতিবার সকালে হাড়োয়ায় জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। বিকেলেও এই লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে থাকবেন সেলিম।
‘‘সন্দেশখালিতে দখলদারি চালিয়েছে তৃণমূল। পুলিশের পাহারায় এই কাজ হয়েছে। এই সব আর চলবে না। আইন মেনে কাজ করতে হবে পুলিশকে।’’
সেলিম বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছে কোন সিভিককে ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। বুথের ভিতর পুলিশ কিছু করতে পারবে না। তাও পোশাক বদল করিয়ে ভিতরে ঢোকানের চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ ছাড়া তৃণমূলের কোন গুন্ডামি মস্তানি হয় না। নকল পুলিশ ঢুকলে বার করে দিতে হবে। রাজ্যের পুলিশ এমন অপদার্থ হয়ে গিয়েছে যে বাংলাদেশের সাংসদ চিকিৎসা করতে এসে খুন হয়ে গেলেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘ভাইপোকে কয়লা পাচারের চার্জশিট থেকে, সোনা পাচার চার্জশিট থেকে বাইরে রাখার জন্য, নিজের লোককে পরিবারকে বাঁচানোর জন্য ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে ছিলেন মমতা। এখন হাওয়া বুঝে বলছে ‘ইন্ডিয়া’-য় আছি।’’
সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনের পরই তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছিল যে তারা কোন জোটে থাকবে না। কিন্তু ‘ইন্ডিয়া’ তৈরি হলে প্রথম দিকে তাতে অংশ নেয় তৃণমূল। ঐক্য ভাঙার জন্য চেষ্টা চালান মমতা ব্যানার্জি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে বৈঠকে প্রস্তাব করে বসেন তিনি। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তারপর ‘ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে দূরত্ব বাড়ান তৃণমূল নেত্রী।
এদিন সেলিম তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, ‘‘জেল থেকে বাঁচানো যাবে না মমতাকে টিকিট না কেটে ট্রেনে ওঠার জন্য যেমন জেলে যেতে হবে। আর বাইরে থাকলেও জেলে যেতে হবে।’’
বসিহাট, বাদুড়িয়ায়, দেগঙ্গায় বিভিন্ন সময় দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তৃণমূল শাসনে। ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দাঙ্গার অভিযোগ রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে সেলিম বলেন, ‘‘রাজ্যে ১২ বছরে একাধিক দাঙ্গা হয়েছে। তৃণমূল দাঙ্গার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। কোন কমিশন হয়নি। দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়নি।’’
Comments :0