Maharashtra

উদ্ধবের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ বিজেপি, বিধানসভার আগে মহারাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির ছক

জাতীয়

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ৪৩টি আসনে জয়ী হয়েছিল এনডিএ (বিজেপি এবং শিবসেনা)। সেই জোট নেই। অজিত পাওয়ার, একনাথ শিন্ডেদের ব্যবহার করে এনসিপি এবং শিবসেনা ভাঙিয়েছে বিজেপি। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ৪৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ১৩টিতে। উদ্ধব থ্যাকারের শিবসেনা জয়ী হয়েছে ৯টি আসনে এবং শরদ পাওয়ারের দল জয়ী হয়েছে ৮টি আসনে। নির্বাচনের ফলাফল থেকে স্পষ্ট মারাঠা রাজ্যে ইন্ডিয়ার কাছে ধাক্কা খেয়েছে এনডিএ। উদ্ধব ইন্ডিয়া শিবিরের প্রথমসারির নেতা। তাকে হাতিয়ার করে জোট ভাঙতে চাইছে বিজেপি।

নির্বাচনে এই ধাক্কার পর মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ অঘধি জোট ভাঙতে মরিয়া বিজেপি। চলতি বছর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে জোট ভাঙতে চাইছে বিজেপি। মঙ্গলবার বিজেপি নেতা চন্দ্রকান্ত পাটিল মন্তব্য করেছেন যে, লোকসভা নির্বাচনে উদ্ধব থ্যাকারে যা পরিশ্রম করেছে তাতে তার দলের থেকে বেশি লাভবান হয়েছে দুই শরিক কংগ্রেস এবং শরদ পাওয়ারের দল। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে উদ্ধব থ্যাকারে জা পরিশ্রম করেছেন তাতে আমরা তার শারিরীক পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেলো তার এই পরিশ্রমে সব থেকে বেশি উপকারি হয়েছে কংগ্রেস এবং এনসিপি (শরদ পাওয়ার)।’’

তিনি আরও বলেছেন, ‘‘থ্যাকারে যখন বিজেপির সাথে ছিল তখন লোকসভা তার দল ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল। কংগ্রেস এবং শরদ পাওয়ারের সাথে জোট করার পর তার দল পেয়েছে ৯টি আসন।’’   

গত লোকসভা নির্বাচনের পরপরই ভেঙে যায় বিজেপি শিবসেনা জোট। তৈরি হয় মহা বিকাশ অঘধি। বিজেপিকে হারিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে সেই জোট। এক বছরের বেশি সময় সরকার চালানোর পর একনাথ শিন্ডে সহ কয়েকজন শিবসেনা বিধায়ককে দলে টেনে সরকার ফেলে দেয় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন শিন্ডে। তারপর শিবির বদল করেন অজিত পাওয়ার। কিন্তু তৃতীয় এনডিএ মন্ত্রিসভা গঠন হওয়ার পর থেকে বিজেপির ওপর চটেছেন অজিত এবং একনাথ। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্রে নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি।

Comments :0

Login to leave a comment