এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বল এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পাওয়ারের বক্তব্যের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করল কংগ্রেস। যদিও একইসঙ্গে কংগ্রেস স্পষ্ট করেছে, বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে এনসিপি’র সঙ্গে জোট ভাঙতে রাজি নয় তাঁরা।
শুক্রবার ‘এনডিটিভি টুডে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শারদ পাওয়ার বলেন, হিন্ডেনবার্গ গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃত ভাবে আদানী গোষ্ঠীকে ফাঁসিয়েছে। একইসঙ্গে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে ষড়যন্ত্রও বলেন তিনি। এর কিছু পরেই বিবৃতি জারি করে কংগ্রেস জানায়, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগসাজোশের সহ অন্যান্য অভিযোগগুলি একদমই বাস্তব এবং অত্যন্ত গুরুতর।
প্রসঙ্গত হিন্ডেনবার্গ কান্ডের পরে আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসি গঠন করে তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে কংগ্রেস। সংসদের বাজেট অধিবেশন একাধিকবার এই ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে। সেই সময় সংসদের ভিতরে এবং বাইরে বিরোধীদের যৌথ কর্মসূচির প্রত্যেকটিতে অংশ নিয়েছিল এনসিপি।
এদিন কংগ্রেস মুখপাত্র তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বিবৃতি জারি করে বলেন, এনসিপি’র আদানি ইস্যুতে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী থাকতেই পারে। কিন্তু কংগ্রেস সহ ১৯টি বিরোধী দল আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলিকে বাস্তব এবং গুরুতর বলেই মনে করে।
যদিও এই ইস্যুতে যে এনসিপি’র সঙ্গে সমঝোতা ভাঙতে রাজি নয় কংগ্রেস, তাও স্পষ্ট করেছেন জয়রাম রমেশ। তিনি জানিয়েছেন, আদানি ইস্যুতে বোঝাপড়া আলাদা হলেও এনসিপি, কংগ্রেস সহ ২০টি বিরোধী দল গণতন্ত্র, সংবিধান এবং ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষকে বাঁচানোর প্রশ্নে একমত। এই মৌলিক বোঝাপড়ায় বদল ঘটেনি কোনও পক্ষেরই।
অর্থাৎ, আদানি ইস্যুতে এনসিপি’র সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করলেও, বিজেপি বিরোধী সার্বিক লড়াইয়ে বিরোধী ঐক্য দুর্বল হতে দিতে রাজি নয় কংগ্রেস।
Comments :0