২০১৪ এবং ২০১৯ এর নির্বাচনে কংগ্রেস লোকসভার মোট আসনের দশ শতাংশ না পাওয়ায় কোন বিরোধী দলনেতা ছিল না লোকসভায়। মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অধীর চৌধুরি হয়েছিলেন লোকসভার দলনেতা। দশ বছর পর দশ শতাংশ আসন জেতার কারণে বিরোধী দলনেতার পদ পেতে চলেছে কংগ্রেস।
এদিন কংগ্রেসের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বেণুগোপাল লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ফলাফলকে নরেন্দ্র মোদীর নৈতিক পরাজয় বলে কটাক্ষ করেছেন। এদিন ওয়ার্কিং কমিটির প্রস্তাবনায় রাহুল গান্ধীর ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করা হয়েছে। ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা এবং ভারত জোড় যাত্রার সাফল্য উল্লেখ করেছে ওয়ার্কিং কমিটি। বলা হয়েছে দেশ জুড়ে এই দুই পদযাত্রা মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলতে সফল হয়েছে।
দেশের মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘মানুষের এই রায় দেশের গনতন্ত্র, সার্বভৌমত্য এবং সংবিধান রক্ষা করেছে। যেই ধাক্কা তারা বিজেপিকে দিয়েছে তা ব্যাক্তি নরেন্দ্র মোদীর নৈতিক পরাজয়। ২০১৪ সাল থেকে যে ভাবে দেশের গনতন্ত্র এবং গনতান্ত্রিক কাঠামো আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে তার বিরুদ্ধে মানুষ রায় দিয়েছেন।’’
রাহুলের পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভূমিকারও প্রশংসা করা হয়েছে প্রস্তাবনায়। বলা হয়েছে বিভিন্ন সভা থেকে তিনি যে ভাবে বিজেপির আসল চরিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন তা প্রশংসা যোগ্য। উল্লেখ্য উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্য লাগাতার প্রচার, সভা করে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। রায়বারেলি আসনে কার্যত একার হাতে সামলেছেন গোটা প্রচার।
উল্লেখ্য এদিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে দলের খারাপ ফলাফল নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কি কারণে এই রাজ্য গুলোয় ফল খারাপ হয়েছে তার পর্যালোচনা করার কথা বলেছে ওয়ার্কিং কমিটি।
Comments :0